আরিয়ান নিহাল এর সকল পোস্ট

আরিয়ান নিহাল সম্পর্কে

বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে অধ্যয়ন করছি পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য- সংস্কৃতি সংগঠনের সাথে আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ আছি। উত্তরায়ণ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ চবি, তির্যক নাট্যদল, বন্ধুসভা চবি, সপ্তর্ষি তাদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে উত্তরায়ণে সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি এবং আরও কয়েকটি সংগঠনের কার্যকারী সদস্য পদে আছি। আজীবন সাহিত্য ও সংস্কৃতির একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চায়।

মনের জীবন

নিশ্বাস যায় যায়, ঘুরেফিরে প্রার্থনা, হাতটা পড়ে আছে পাশে, স্নায়ুতে থেমে থেমে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা, লোভী মন, মৃত্য খণ্ডাতে একের পর এক অভিনয়, নবাগত হয়ে মরণ জয়ের নেশা, পাপ পূণ্যের পিটে ঠেসেঠুসে নতুন একটি দিন, আবার অবুঝ বাসনা, পরের দিন যে অনিন্দ্য সুন্দর!

বর্ষার বিয়োগে শীতের আগমন ,প্রকৃতির মতো নির্জীব জীবন
মানুষ নয় প্রাণী হয়ে ভাবি একি খসখসে যন্ত্রনা-
ঘড়ির কাঁটায় ফিরে আসে সময়, জীবন ক্ষয়ে ক্ষয়ে, বয়সের
ভারে নতজানু দার্শনিকের চুল ঝরে, রহস্যের বরফ জমাট বাঁধে-

মাথা পা টলছে, কাঁপছে পৃথিবী ,নেশায় মত্ত না হয়ে নেশাতুর,
পাওয়া আজ না পাওয়ায় মিশেছে, রঙিন থেকে সাদা কালো, পৃথিবী একটি মৃত শব্দ, স্বাদ কোরক নষ্ট হওয়া মানুষের স্বাদ।।

বিচ্যুতি

ঝুপ ঝুপ এক পশলা বৃষ্টির মতো রক্তের দাগ, নরকের রক্ত খাদক ; পায়ে পিটে বেড়ী, স্বর্গ থেকে ক্রমশ দুরে সরে যোজন যোজন, মানুষের ঈশ্বরকে কাছে টানতে নিজের ঈশ্বরকে বলিদান, ভিতরে ভিতরে অন্যজন করছি লালন।

পর জন্মের মাঝে ব্যবচ্ছেদ টেনে, মানুষ তোমার আমার
এক জন্মে, এক নৌকায়, রেখা ,শত শত বিচ্যুতি –
অকৃত্রিম গোলাপ, বাতাসে বাষ্পে গন্ধ, তবু মিলনের মাঝে অযুত পথে
হাইড্রার আগমন ভিলেন রূপে।

তোমরা মানুষ ভেবে ভুল কর বার বার কিন্তু আমি করেছিলাম শুধু
এক বার, তারপর….তারপর চন্দ্রগ্রহণের শেষে চাঁদ ওঠেনি।

অ সুখ

আমার ভেতর তুমি, অজান্তে বেড়ে উঠা কোন রোগ, চিন্ চিন্, ধড়পড় ধড়পড়, বুকের বাঁ পাশটার জ্বালা-
ঠিক ক্যান্সারের মত, কোষ থেকে ভ্রুণে ,স্নায়ু থেকে মনে –
কিংবা বলতে পারো মরুর বুকে নতজানু উট, গৃহপালিত, শান্ত শিষ্ট, নিয়ম করে চলা।

বলতে পারো একদিন, দু’দিন করে বেড়ে উঠা হাজার দিন
নূপুরের ঝন ঝন শব্দ ,কালো রাতের গভীরতা বা সন্ধ্যার পর
নিরবে ব্রিজের নিচে বয়ে যাওয়া পানি।

না এতো কিছু উপমা তোমার জন্যে নয়, বাহ্যিক মন –
দেহের জন্যে দেহ বা চায়না ক্রিমের ঐ কৃত্রিম অবয়ব, পাওয়ার জন্যে আরও কিছু পাওয়া-
না শুধু নশ্বর দেহের জন্যে এ প্রার্থনা নয়, তোমার দু’টি চোখ, টোলপড়া দূর্লব হাসি আর কাঁপা কাঁপা স্পর্শ, কাব্যই যোগ্য উপহার।।