রোবায়দা নাসরীন এর সকল পোস্ট

রোবায়দা নাসরীন সম্পর্কে

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।

প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী

আজ ২৫’শে বৈশাখ।
প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে রাখে জীবনের প্রতিটি স্তরে। বুঝতে শেখার পর থেকে আজ অবধি জীবনের প্রতিটি অনুভূতির প্রকাশে তার লিখার সান্নিধ্য পেয়েছি। দৈনন্দিন জীবনাচরণের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে তার লিখায় আশ্রয় খুঁজেছি। তিনি যেনো অপার সান্তনা আর শুভেচ্ছা ছড়িয়ে দিয়েছেন অকৃপণ ভাবে।

বোধ করি অধিকাংশ বাঙালি হৃদয়ে তিনি এভাবেই বসবাস করেন। বাঙালির আবেগ অনুভূতির গুলোকে তিনিই কেবল পেরেছেন লিখনির মালায় বাঁধতে। ব্যক্তিজীবনে কবিগুরু আমার অপার মুগ্ধতা। আমার একান্ত প্রেম। আমার প্রতিটি আবেগ তার লিখনিতে সমর্পিত। আমার প্রতিটি অনুভূতিতেই তিনি ছুঁয়ে থাকেন।

ছোট্টবেলায় পড়া সেই “বীরপুরুষ” কবিতা, চোখ বুজে আমি তার প্রতিটি চরিত্র কল্পনা করতে পারতাম, আমি জোড়াদীঘির ঘাট দেখতে পেতাম! ঘুমের ঘোরে হা রে রে রে হাঁক শুনে কাপে উঠতাম।
সেই আমার প্রথম কল্পনা রাজ্যে প্রবেশ।

তার পর জীবনের সকল সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, বিচ্ছেদ-যন্ত্রণা, ঋতু-পার্বণ-উৎসব প্রতিটি অনুভবেই তাঁহাতেই আশ্রয় নিয়েছি প্রাণ ভরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাপুরুষ ছিলেন না, কিন্তু তাঁর উপলব্ধিতে মহাপুরুষদের মতোই ঊপলব্ধি পাওয়া যায়। তিনি রসের টোপ ফেলে মানুষে চঞ্চল ও বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত ও সংহত করায় পারদর্শী।

“তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।”