শুভদেব ঘোষ এর সকল পোস্ট

শুভদেব ঘোষ সম্পর্কে

নাম: শুভদেব ঘোষ। উপজেলা: বরিশাল, সদর। জেলা: বরিশাল। মোবা: ০১৭১৮৪২৬৮৮৭

চিঠি

আমার নীল খামের চিঠি গুলো আজও তোমার ঠিকানা খুঁজে পাইনি।
আমার নীলপদ্ম গুলো আজও তোমার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
কতো রুদ্র বৈশাখ কেটে গেলো ঝড়ের
পূর্বাভাস শুনতে শুনতে।
ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আজ ক্লান্ত তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে।
স্যাঁতস্যাতে এই জীবন মাঝ রাত্রিরে নিঃশব্দে জেগে থাকে,
দূরবর্তী কোন কূলের ঠিকানায় কুয়াশায়, তোমায় খুঁজে।

আসছে শ্রাবণে বরষায় ভিজে
ক্রন্দন লুকিয়ে রেখে,
তোমাকে খুঁজে না পেয়ে।
একা থাকার ভালোলাগায়
নিজেকে ডুবিয়ে,
জোসনা রাতে প্লাবিত হয়ে হাওড় অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াবো।
সাগরের তুমুল গর্জন শুনে লোনা পানিতে পা ভিজিয়ে,
সন্ধ্যা রাতে হিমেল অনলে
নিজেকে পুড়াবো।

বরফ গলে

রাতের কান্না গুলো;
অনিদ্রায় নীরবতার বরফ গলে
মুখের চোয়াল বেয়ে বালিশ ভিজে
মুখ ধোয়ার সাথেই জলে মিশে;
পুকুর ঘাটে কতো জ’না আসে
মলিন পানি চুপই থাকে;
গভীর ক্ষত অন্তরে জ্বলে
ব্যথার নীল বলবো কাকে?
প্রিয়জনকে হয়ত বলা যায়?

সময়ে পাল্লা দিয়ে দুঃখ আসে;
দুঃখের অনুপ্রবেশে ঔদাসিন্য
কোনো ভাবে সইতে হয়;
যেহেতু-মনের মতো নয়!
দুঃখের ভাগ জগতে কেউ নেয়?

সুসময়ে ঠিকই পাশে ভিড়ে
তবে বন্ধু এমনও হয়,
প্রয়োজনে ক্ষতির কারণ!
ভালো বন্ধু বিশ্বাসের মণিমুক্তো
ব্যথার উপসমে তার সহানুভূতি
ভীষণ যন্ত্রণায় ছটফট একাই হয়;
ভালোবাসা স্বার্থের কুল-কুল বহে…

তারে বোঝার সাধ্য তখ’ন থাকে ?
খোলা আকাশে মিষ্টি হাওয়ার স্পর্শ
মাটিতে তাপ ছড়ায় জীবের গাত্রদাহ;

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৬

কৃষ্ণচূড়া বিকেলের অন্য এক পৃথিবী

বহুদিন পর আমি প্রিয় আকাশ দেখলাম,
ঠিক কতদিন আকাশ দেখিনি মনে নেই,
আকাশ কি একটু বেশি নীল হয়েছে ?

একটু বেশি সুন্দর …
হয়তো আকাশ আগের
মতই আছে –
বহুদিন পর আকাশে মেঘ করেছে
সে মেঘে আমার দুচোখ ভিজে গেছে
তবে কি এ দুঃখের প্রকাশ এই অশ্রুজল ;
সবুজ পাতার গাঢ় সবুজাভা মধ্যরাতে শিশির শিহরণ তোলে।

শীত মৌসুমে হলুদ সরিষার দিন প্রায় শেষ
অতিথি পাখিরা উড়ছে
ডানায় সোনালী রোদের গন্ধ মেখে –
খোলা আকাশের নিচে,
এই শীতে আমি যেতে চেয়েছিলাম নীলগিরি কিম্বা বালুদ্বীপ
যাওয়া হলো না।

শীতের শেষ বিকেলে নীল বরফ ঢাকা সমুদ্র দেখতে চেয়েছিলাম
তাও হলো না,
বাড়ির পাশে ছোট্ট এক নদী পার হতে পারলাম না
সমুদ্র তো অনেক দূরের কথা
একান্তই আমার দুরন্ত ইচ্ছে গুলো জমাখরচার ডায়েরিতে জমা থাক :
অন্যকোন এক কনকনে শীতে ঠিক ঠিক যাব –
বহুদূরের পথে যেতে যেতে সর তোলা দুধ চা আর কফির সাথে জমবে বেশ
মাটির ভাঁড়ে খেজুরের রস;
শীতার্ত ভোরের দূর্বাঘাসে শিশির ভেজা পায়ে হারাব অচেনা
কোন পথে –
চারদিকে সবুজ প্রকৃতি
কিছুই চিনি না আমি,
তখন কি আমার দূরের আকাশটা কে দুর্বোধ্য মনে হবে ?

আমার চোখে থাকবে এক নতুন পৃথিবী।
রাতে ফোঁটা গোলাপের কোন তুলনা হয় না
আমি অজস্র গোলাপ তুলতে তুলতে বয়ে যাবে বেলা,
কিছু দিন পর গোলাপ গুলো ঝরে যাবে
অকস্মাৎ ছায়াচ্ছন্ন নিবিড় নীড়ে বৃষ্টির শব্দ
এখন আমি মেঘের সাথে
বলব কথা
ও মেঘমালা, হঠাৎ বৃষ্টি!
তুমি কি আমার সঙ্গী হয়েছ ?
আমি শোনাব তোমাকে আগামী শীতের গোলাপ পাখি আর সমুদ্রের কথা।