বাঘিনী বাড়িতে নেই প্রায় দু’মাস হলো, সে বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছে। বাঘিনী না থাকায় শরীর ও মন, দু’টোই উথাল পাতাল করছিলো। তাই বিকেলের মনোরম রোদে নিজের ডেরা ছেড়ে নদীর দিকে এগিয়ে গেলাম। ওমা! নদীর ওপারে দেখি সুন্দরী হরিনীর দল উদ্দাম হয়ে হুশ হারিয়ে খেলছে। জিভে পানি এসে গেল। ইসস! যদি একটা’র ঘাড় মটকাতে পারতাম! কিন্তু খরস্রোতা নদীর কারনে আমার আশা, নিরাশায় পরিণত হলো।
নদীর এপারে দেখি মহিষের বিশাল এক পাল পানি খাচ্ছে। এর ভেতর নাদুস নুদুস কয়েকটি মহিষ দেখে বেশ লোভ হলো। কিন্তু আমার একার পক্ষে মহিষের বিশাল পালের সাথে পেরে উঠা সম্ভব নয়, জানের ভয়ে বাধ্য হয়ে লোভ সামলালাম।
ডেরায় ফেরার পথে দেখি গাছের ডালে কতগুলো সুন্দরী টিঁয়া পাখি মনের আনন্দে ব্যালো ড্যান্স করছে। নাহ! ক্ষুধাটা আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠলো। লোভের জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়লাম।
অবশেষে ডেরার কাছে এসে দেখি, একটা অবুঝ ও কচি খরগোশ ছানা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মনের আনন্দে খেলছে। এতক্ষনের চাঙানো ক্ষুধা পেটে রেখে আর কি লোভ সামলানো যায়! অবশেষে এই অসহায় ও নিরাপদ শিকারের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষুধা মেটালাম।
[প্রসঙ্গঃ নারীর বেপর্দা-উশৃঙ্খল চলন, অশ্লীল পোষাক ও ধর্ষণ।]
পূর্ব প্রকাশিত এখানে।
দুর্বলের পরে সুঠাম … সবসময়ই আগ্রাসী। প্রেজেন্টেশনে নতুনত্ব আছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
বাঘ মামার ডায়েরী ভাল লাগল। বিশেষ করে উপস্থাপনার কৌশল পছন্দ হয়েছে খুব। আপনার এই বাঘমামা সিরিজ শব্দনীড়ে নতুনত্ব এনেছে কোন সন্দেহ নাই। আশা করি নিয়মিত লিখে যাবেন।
অজস্র শুভকামনা জানাই।
আপনাকেও শুভকামনা।