আফগান থেকে এক কাবুলিওয়ালা এদেশে বেড়াতে এসেছিল। এক মিষ্টির দোকানদার মিষ্টি সামনে নিয়ে বসে আছে অথচ খাচ্ছে না দেখে সে নিজেই দুই হাতে মুখে পুরতে লাগলো। দোকানদার ছুটে এসে তাকে ধরে ফেললো। লোকটি কাবুলী ভাষায় বলতে লাগলো, “নিজেও খাও না আবার অন্যকেও মিষ্টি খেতে দাও না, এ কেমন মানুষ তুমি ?”
কিন্তু দোকানদার তার ভাষা বোঝে না। সে হৈ চৈ করতে লাগলো। ছেলের দল জমা হয়ে পড়লো। সবাই তাকে নিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দিল।
পুলিশ দেখলো, লোকটি একজন বিদেশী। এদেশের ভাষা এবং হাব-ভাব সে কিছুই বোঝে না। সুতরাং এই ছোট একটি ব্যাপারে তাকে হাজতে চালান দেওয়া ঠিক হবে না। বরং লোকটিকে মাথা ন্যাড়া করে একটি গাধার পীঠে বসিয়ে সারা শহর ঘোরাতে হবে। ছেলের দল পিছনে পিছনে ঢোলক বাজিয়ে মিষ্টি চোর বলে প্রচার করতে থাকবে।
সুতরাং বিপুল আয়োজনে ছেলের দল এইরূপই করলো।
লোকটি যখন দেশে ফিরে গেল তখন সবাই আসলো তাকে দেখতে, ‘বল ভাই, বাংলাদেশ কেমন দেখলা ?”
বললো, “বাংলাদেশ খুব ভাল দেশ। সেখানে বিনা পয়সায় মিষ্টি, বিনা পয়সায় চুল কাটা, বিনা পয়সায় গাধার পীঠে ভ্রমণ, বিনা পয়সায় ছেলেদের বাহিনী আর বিনা পয়সায় ঢোলের বাজনা বাজিয়ে সম্বর্ধনা। সুন্দর এই বাংলাদেশ।
……………
হাফেজ মাসউদ
হাহাহা। আপনার রসবোধে চমৎকৃত হলাম হাফেজ সাহেব। দারুণ শেয়ার।
আমাদের দেশে কাবুলিওয়ালাদের নিয়ে অনেক অনেক মজার মজার লিখা রয়েছে।
আশা থাকবে এমন এমন আরও কিছু বৈচিত্র্যপূর্ণ উপহার আমার পাবো।
দু’আ করবেন।
এমন কিছু পোস্ট তুলে ধরবো যেন প্রত্যেকটি মানুষ সেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
নিশ্চয়ই জনাব হাফেজ মাসউদ। আমাদের সঙ্গে থাকুন।
চমৎকার লেখা ভাই হাফেজ মাসুদ । শব্দনীড়ে এমন মজার লেখা কাউকে লিখতে দেখি না । আপনার প্রতি প্রত্যাশা আরো বেড়ে গেল কিন্তু



!