এক
সুখী পরিবার মানে মা-মেয়ের একসঙ্গে পিরিয়ড হয়
হিজড়ে করছে হিজড়ের চরিত্রে অভিনয়
তিনি বহুচেরা দেবী আমি সহজ — এই স্তোত্র নির্মাণ করেছি
চেষ্টা যদি সৎ, তবে প্রতিষ্ঠা পরাজয় ছাড়া আর কী!
দুই
আমার লেজের নিচে জ্বলন্ত লাইটার রাখল তারা —
নিজের বমি দেখাবো না মিডিয়াকে, বলেছি তো?
বিতৃষ্ণার ভেতরে আছে একফোঁটা ইচ্ছে, যা থেকে
জন্মাবে বিতৃষ্ণাধারা
হা-হা কাপালিক রোদ, বোঁটাখসা স্তনের মতো ভীত।
চোখ কোটরের মধ্যে উল্টোদিকে ঘুরে গেছে, ফিরবে কীভাবে?
ফিরে পাওয়া আগের থাকে না।
আমাদের ও-পজিটিভ মিথ্যে যে-কোনও শিরায় মিশে যাবে
তবু জুঁইফুলের শোক কলাবতীতে ঢাকে না
তিন
উন্নত মঙ্গলকাব্যের দিকে কিছুক্ষণ বাইক চালানোর পর
পেছনে তাকিয়ে দেখি আরোহিণী নেই!
অথচ চাঁদ করেছিলাম কত আস্তে, সবচেয়ে নরম সম্মান দিয়ে ধরেছিলাম
দুটো থানাপুলিশ। আমি ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখে নিচে
সই করতেই সেটা পুরসভার ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে
শবের সুস্থতা পেয়ে যাবো, শ্মশানবন্ধুর দু:খ থেকে জেগে পা-ছড়ানো লাশের আরাম…
চার
অকালসঙ্গম থেকে উঠে কিশোর ভোরবেলা চণ্ডীপাঠের ভেতরে বসেছে
গাছে গাছে কাকফল, আমাদের ওয়েট শুকোয় সারাক্ষণ।
পুকুরের একটা দিক দিলদরিয়া, পায়ের একটা ভাগ সর্পদংশন
তিনকাঠা গোধূলিতে অন্ধকার আবাসন প্রকল্প তুলবে
ঝানু অডিটর যে-কুকুর রাস্তা শুঁকে শুঁকে চলে যায়
সহর্ষ পালটি খাওয়া শালপাতায়
মেলা ফুরনোর চিহ্ন, সে বলছে:
আবেগ অন্তর্বাসের মতো, নানারকম সাইজে পাবে, মন।
পাঁচ
কবিতার সপ্লিন্টার খেয়ে সুবীভৎস জ্বর এল ঘিলুর ভেতরে
পিঠে দানা দানা মরচে শিশির, নিরস্ত্র ভোরে
পেচ্ছাপে বুক ফেটে যায়। যন্ত্রণার জরা নেই, তথাগত জানো?
কিছুক্ষণ পর সেই ঝিলমিল মাথা কশাইয়ের কাঁধে ঝুলছে,
চোখদুটো একদৃষ্টে পেছনে তাকানো
ধন্যবাদ, বলিহারি, কাজ হাসিল…
এক এর মধ্যে পাঁচ। পাঁচটি অধ্যায়ই পড়লাম প্রিয় কবি চন্দন দা।
আপনার লিখা পড়লে একটি বিষয় মাথায় আসে …
এপার আর ওপার বাংলার কবি-কূলের লিখার ধাঁচ এ এখনও বিস্তর ফারাক রয়েছে।