১.
আমার ভালোবাসার সামনের দুটো দাঁত ফাঁকা
ভালোবাসলে বীভৎস দেখায়
২.
ইরানি ট্রফির প্রথম পনেরোতেও যেদিন আস্তানা দিলে না
তবে থেকে ঘুমের হসসোউকার খুলে হাওয়া
আজ অবসর ঘোষণার পর যন্ত্রণায় দাঁড়ি পেল মুটিয়া মন
শুধু ভারি চোখদুটো
শুক্রথলি ভারি হয়ে আছে
৩.
আমার লাইফ রজনীকান্ত্
একমুখ দাড়ি কেটে চুলটা একটু ফুলিয়ে নিলেই ছাপ্পান্ন সপ্তাহ
কিন্তু আসলে ফাঁকা বাড়িতে একা খালি পেটে শুয়ে থাকে রজনীকান্ত্
তাকে কেউ ভালোবাসে (“না”-টা ইকো হবে)
জ্বলন্ত সিগারেট ডিগবাজি খেয়ে নামছে পেট্রোল সাগরে
৪.
যতই বলুক তৃষ্ণা
ওকে জল কিছুতে দিস না
৫.
তুমি হাই প্রোফাইলের কাছে গেছ
এই সপ্রতিভ যাওয়া তোমাকে জীবনের
“কভি গম” অংশটুকু দেবে না
তুমি আকর্ষণীয় চোখ, দারুন পি.আর.
আর দিনে পঞ্চাশটা পুশ আপ-এর কাছে …. একটা জব
হাতে থাকতে বেটার অপশানে চলে গেছ
প্রাইভেট ফার্ম বলেছে কেন, বস !
৬.
কবিপ্রেম অনেক ঝামেলা
তবে মিনিটে মিনিটে ঘর খালি — এমন ভাড়াটে পাবি না
শেষে ভয়াবহ লাগে কিরায়া! গদগদ ক’রে এতো দেবে
মুন্ডু খুলে যমুনায় পিছলে যাবে তোর ……
৭.
ও-জানোয়ার তোকে বিখ্যাত ক’রে গেল বুঝতে পারছিস না?
রেসিপি খসছে না হৃদয় থেকে?
এই সুযোগ, দুর্দান্ত সব আইটেম নামা, চন্দন!
ফুসফুসে আইসক্রিম জমিয়ে শিরায় গাজরের স্টু সাজাবি
আর হ্যাঁ, কাঁদতে কাঁদতেই ব্যালাডের সুরে ঠোঁটের স্যালাড কুচিয়ে নে
কতদিন দুটো পেটভরা দিসনে আমাকে, বাবুজান !
৮.
এই প্রেম বারোমাস
এই প্রেম চিরদিনের
আমি বনগাঁ লাইনের সেই দৃষ্টিহীন প্রেমিক
তবে ইশারা করলে দিতে পারবো না
হাত বাড়িয়ে স্পর্শ ক’রে চেয়ে নেবেন
আমিই সে
প্রতিদিনের পরিচিত —-
সোনামুগ ডালে কাঠকয়লার আঁচে তৈরি বাংলার ঝিরিঝিরি নিজস্ব ভালোবাসা
আছি, বলবেন।
অনন্য সাধারণ কবিতা। কবিতায় আধুনিকতা। অভিনন্দন প্রিয় চন্দন দা।
৮.
এই প্রেম বারোমাস
এই প্রেম চিরদিনের
আমি বনগাঁ লাইনের সেই দৃষ্টিহীন প্রেমিক
তবে ইশারা করলে দিতে পারবো না
হাত বাড়িয়ে স্পর্শ ক’রে চেয়ে নেবেন
চেষ্টা করেছি, এইমাত্র। কৃতজ্ঞতা, আজাদভাই।
অসাধারণ লিখেছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন
খুব ভালো লিখেছেন । শুভেচ্ছা জানবেন ।
আমার ভালোবাসার সামনের দুটো দাঁত ফাঁকা
ভালোবাসলে বীভৎস দেখায় – এতো ভয়ংকর ব্যাপার!!
কবিতায় অনেক ভালোবাসা।
ধন্যবাদ, মামুনভাই। আপনাদের মন্তব্য উদ্দীপিত করে।