সবে ছোট্ট বড় হওয়া, সবে শাড়ি শেখা, সদ্য লজ্জায়
চুলের ফাঁকে সিঁদুর লুকোনোকে দেখি রোজ ভোরে উঠি যখন
রোজ রাজ্যভ্রমণে। তার মাত্র কয়েকশো সন্তান চকচকে, তার
শুধু একটা কোল খালি হবে, একটা বাচ্চা মুরঝানো, সমস্ত গা
লাল — বলছে, আমাকে যেতে দে মা, কেন কান্না করছিস!
আশ্চর্য থাকতে থাকতে উড়ে নামতে দে, তোর পায়ের নিচে
প্রথম দেহ হই। কিছু বলব কি, মা’র ভয়-চোখের পিছু পিছু
তাকিয়ে দেখি ফাঁকা মাঠ দিয়ে ক্ষীরসাদা বাতাস উড়ে আসছে
আর দাঁতে দাঁতে চেপে আছে মা, একটা শাখাও যেন না দোলে
ওই আয়ুফুরনো সন্তানে কোনও দোকা না পৌঁছোয়।
তবু বাতাস এসে সে চিন্তা ফাটিয়ে দেয় আর বাসি বাচ্চাটাক
হাসিমুখে পড়তে থাকে ছলছল মুখেও, মা কেঁদে গড়িয়ে পড়ে…
আমি কি আর দেখতে পারি এইসব! পাতাটাকে তুলে
আবার ডালে লাগিয়ে দিই, হাত বুলিয়ে পিঠে ওর রঙ এনে দিয়ে
গাছের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলি, চুপ! যেন কেউ জানতে না পারে
যা তথাগতও সাহস পাননি আমি যে সেই বিদ্যা, একথা
না ছড়ায় — ব’লে হাতকাটা গেঞ্জি আর চপ্পল পায়ে
রাজ্যভ্রমণে নেমে আসি।
‘পাতাটাকে তুলে আবার ডালে লাগিয়ে দিই, হাত বুলিয়ে পিঠে ওর রঙ এনে দিয়ে
গাছের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলি, চুপ!’
শিরোনাম লিখায় কী অসাধারণ শব্দ ভাবনা। দারুণ চন্দন দা।