ইনিশিয়েটিভ
আমরা জানতাম তুই পাগল হয়ে যাবি
বাসে দুবার ভাড়া দিতিস, কন্ডাকটার স্পেশাল খাতির করত
আবার, বাজার করে ফেরার পথে পেছন-পেছন ছুটছে দোকানদার
আমরা বলাবলি করতাম, ওই দ্যাখো
ভবিষ্যতের উন্মাদ
মাথায় টোকা দিলে কাঁসর বাজে, তাই না!
ভেতরটা দাগ-ধরা, তরকারি কড়াইতে লাগো-লাগো হলে যেমন হয়
তখনও তুই ক্লাসে ফার্স্ট হচ্ছিস, এক চান্সে কলেজপাশ,
তার মধ্যে হঠাৎ জানলা দিয়ে দেখি কি, মায়ের বুকের
ওপত চেপে বসেছিস, আর একবার
বন্ধুর গায়ে, একদম ওপেন, ক্ষুর তুললি
তারপর বীভৎস চুপচাপ…। সেদিন কানে এল
পাড়ায় নতুন ভাড়াটে
দিনের বেলাতেই দরজায় টোকা পড়লে ভয় পায়, ফোন এলে
ধরতে চায় না — আখির ক্যা হুয়া তুমহে!
তোর বউটাকে দেখলে কষ্ট লাগে
টাকা-পয়সা কুড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে যাচ্ছে
কিন্তু বিজ্ঞানকে কি অস্বীকার করা যায় রে পাগল…
ফিরে এসেই বা কোন কাজে লাগবি বল তো?
সেই ইনিশিয়েটিভ কোথায়!
ইনিশিয়েটিভ শব্দটি শক্ত করে ধরলে লিখার গড়ন ধরণ অতি গম্ভীর হয়ে যায়।
কবিতা ভাল লেগেছে, তাই ধন্যবাদ জানাই।