হাসি এক ধরণের আর্তনাদ
এক-রাত ক্লান্ত মনোমালিন্যের শেষে
বসে আছি, মধুসূদনের মতো নিরাশ্রয়!
বন্ধ ঘরে ঘুষিবস্তু থুতুবস্তু উড়ে
মেরেছে হাওয়াকে। তার পেটে জারুল-নিঃশ্বাস—
আশঙ্কাজনক এক রক্তদলা, ওড়ে না। চমকায়
চোখের দুকোল জুড়ে চম্কিলা কাকবস্তি,
গলার ভেতরে খোঁড়া চাপাকল
যত টানো, ঘোলাটে, অজীর্ণ, ছেঁড়া
বৃহংনের শব্দে উঠে আসে অপমানিত।
অপমান জমিয়ে জমিয়ে আমি
তুলে গেছি অজস্র অপারতলা বাড়ি
হেসেওছি — হাসি এক ধরণের আর্তনাদ
জানুসম দুটো মুন্ডু, তার মধ্যে
খ্যাপার মাথাটা চিরক্ষণ তাকিয়ে রয়েছে রাত্রিতে।
এক-রাত দগ্ধ মনোমালিন্যের শেষ
পড়ে আছি, যযাতির মতো কুষ্ঠরোগী
গোটা দেশলাই, কিছুটা টোপাজ ব্লেড
হাতে করে, হাতে নিয়ে দেহ নিরক্ষর
শিরা থেকে শেষ উপাসনাবিন্দু ঝরে যায়
বীর্য থেকে অশ্রু খসে পড়ে…
হাসি এক ধরণের আর্তনাদ। … প্রকৃত এবং বাস্তবতার আদল।
ভালো এবং শক্তিশালী লিখা প্রিয় চন্দন দা। শুভ সকাল।
অপমান জমিয়ে জমিয়ে আমি
তুলে গেছি অজস্র অপারতলা বাড়ি
হেসেওছি — হাসি এক ধরণের আর্তনাদ।
সার্থক কবিতা প্রিয় কবি চন্দন দা। শুভসকাল।
সত্যই তাই। কোন না কোন সময় হাসিও এক ধরণের আর্তনাদের মতো শোনায়।
অসাধারণ লিখেন আপনি। আমার ভীষণ পছন্দ আপনার কবিতা।
অসাধারণ একটি কবিতা। কোন এক সময় পড়েছিলাম চন্দন দা।