কী এক পৃথিবী ছিল
কী এক পৃথিবী ছিল তোমার স্বরের টুকরো বসে থাকতো ছাতিমপাতায়
শ্বাসপথ দিয়ে ফুসফুস পর্যন্ত টানা মোরাম ছিল রোদ্দুরের,
হাঁটা যেত দুইবাহু দোকানে দোকানে
একটা বিমান আবছা আকাশে থেমে থেকে
শুকতারা পালন করতো
কী এক সকাল তার লিপিড প্রোফাইল থেকে
চোখ সরানো যেত না
প্রথম শ্রেণীর লিভারের মতো হিন্দু কলাগাছ
যে-মাটিতে জানলা খোলো — ঝিঙেলতার ওপর পাতা রেললাইন;
মাধবীফুলের বারোতলা ছাদে শিশির নামে একফোঁটা
ছেলেটা ঝুলে আছে, সুইসাইড করবে
মহাজগৎ সেই নিচে-চাকা-লাগানো আইসক্রিম
যাকে তুমি-আমি গলে যেতে দেখেছি কী এক হোটেলে!
অত ভোরে শুধু মাকড়সাশাবকের স্কুল খুলে যায়, আর
অনেক সময় পা অবশ হলেও তো আমরা কোল থেকে বাচ্চা নামাই না
আজ সেই রকম বিবেচনা আশা করছে ভোরে-না-ওঠা চায়ের কাপ
তোমার শাড়ির ফুলদানিতে জল পাঠাতে রাজি পুরসভা
কেহ নাহি জানে কার ইচ্ছেয় হলিডে ইন হয়ে উঠছে পৃথিবী…
অনবদ্য।
কী এক পৃথিবী ছিল তোমার স্বরের টুকরো বসে থাকতো ছাতিমপাতায়
শ্বাসপথ দিয়ে ফুসফুস পর্যন্ত টানা মোরাম ছিল রোদ্দুরের…।
কবিতা ভাল লাগল খুব। অ-সা-ধা-র-ণ।