আমার বাঁহাতে মুখঢাকা গল্প মনিটার শুনতে পেয়ে গেছে?
তাই কি টেবিলে ডাস্টার ঠুকল তুহিনস্যারের মতো!
অথচ সবাই ছুটে বেরোচ্ছে ক্লাস থেকে টানা-বারান্দায়
ফাইভসিক্সের চোখে জল
টিচার্স রুমের কাছে জটিলতা…
চার-পাঁচটা মহাপাপী ছেলে ‘আসতে পারি স্যার?’ না ব’লেই
ঢুকে গিয়ে, এমা দ্যাখ, জুতো পায়ে টেবিলে উঠল!
পেড়ে নামাল বড় ফ্রেমের আবছা মহাপুরুষ-মুখগুলো
শুধু ভালোর মধ্যে একটা গান গাইছে ইংরাজির
মিষ্টি কোরাসে আর কাচের চৌচিরশব্দ; আলমারির ভাঙা হাড়
ঝাঁঝরের বিট ধরে আছে।
হাতে ছোট্ট রডের ডান্ডিয়া; রচনাবলীর সাঁচিস্তূপে
বোতল উপুড় করে দেশলাই ঠুকে দিচ্ছে গান
কিছু সৎকার দাঁড়িয়ে দেখার মতো
যেন দিদিমা পুড়ছে আমাকে প্রেমের অপরাধে
ঘরে এত কুঁজো দিশেহারা বই থাকলে আমিও কি
খুঁজতাম না কাঠের গুদাম? হয়তো আমিও ছুঁড়তাম
এরকম ক্যাম্বিস বল দেয়ালে আর দুম শব্দ ক’রে
হাতে আসতো ‘শরতের আকাশে তাকাইলে চোখে পড়ে’।
উক্ত স্তূপমেঘ কোনাচে হেডে আর একটু ওপরে পাঠিয়ে
ছুট ছুট পুলিশফাঁড়িতে। পৌঁছে জানা গেল
জারুলগাছের নিচে একজন ব’সে —
মাথা অল্প ফাঁক করা।
‘যেভাবে পথিক ঝরনার তলদেশ লক্ষ করে’ আমি ঝুঁকে
স্থলপদ্ম দেখি, হুঁ বায়োলজি চার্ট কিছু মিথ্যে আঁকেনি।
শুধু কপাল-ফাটল থেকে লাল স্কেচপেনধারা ডান চোখের
তীর ঘেঁষে পাতলা গোঁফে মিশেছে। গোঁফ অল্প কেঁদে বলছে
‘ওদের কাউকে চিনি না, বিশ্বাস করুন!’ সেই দেখে
জিভ আমার ছোট্ট করে বাইরে — ইশ, দিদি যদি এখানে থাকত,
যে-কোনও মুশকিল টিফিন বাক্স বুকে চেপে খটটাস ক’রে
আটকাতে ওস্তাদ ছোড়দিটা…
[‘ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক’ বইয়ের কবিতা]
নিঃসন্দেহে নান্দনিক একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন কবি।
অভিনন্দন কবি চন্দন দা। অসাধারণ কাজ।
অসামান্য কবিতা দাদা।
ভালোবাসাময় ভালোবাসা কবি চন্দন ভট্টাচার্য।
ভীষণ ভাল লাগা প্রিয় কবি দা।
চমৎকার।

অনেক সুন্দর একটা কবিতা পাঠ করলাম। কবিকে শুভেচ্ছা।
অসাধারণ।