যোগমায়া

আমি এমন ব্যবস্থা রেখেছি
সব তান্ত্রিক নিভে গিয়েও আমার ধুনি জ্বলে!
মেঘের গর্জন শেষে মৃদু হাসি বইতে থাকে — ভোর,
আমি এমন লাইনঘাট করেছি…

যোগ ও মায়া — দুটির একত্র বলে
নিজেকে উদ্ধার করেছি, আমার
রতিমোক্ষ শরীরে হয়েছে
আর মন ধুনুচিধোঁয়ার মতো অনর্গল ভয় তুলে তুলে
ওই দেখো, ভস্মমাখা ছাই
চলাচলই আমার দরোজা, তার বাইরে তাকালে
হৃদস্পন্দনের মতো ছোট পথ,
জলের দুর্দান্ত কাছে পাখি বসে আছে

এতদিন শুকনো নদীর ‘পরে সেতু টেনে গেছি
আজ রাতে ঢেউ এল একান্ত উপায়হীন এলোকেশী ঢেউ, তার
নাভি ঘিরে রক্তগাঁদার মতো আলো

আমি ভালো আছি
আমার ঈশ্বর পথে বসেছে আজ

.
____________________
[‘জগৎমঙ্গল কাব্য’ বইয়ে আছে]

6 thoughts on “যোগমায়া

  1. যোগ ও মায়া — দুটির একত্র বলে
    নিজেকে উদ্ধার করেছি, আমার রতিমোক্ষ শরীরে।

    অসাধারণ মানের কবিতা এই যোগমায়া। শুভেচ্ছা কবি চন্দন দা। :)

  2. কবিতায় সচরাচর যেমন ভাবে কবি মনের নিজস্বতা আমরা খুঁজে পাই, আপনার শব্দ চয়নে কিছুটা নয়; অনেকটাই আলাদা করে পাওয়া যায়। শুভেচ্ছা রইলো কবি চন্দন ভট্টাচার্য। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।