সন্তানপ্রণাম

অধ্যায় : সাত

বাবাকে যে-কোনও সংখ্যা দিয়ে ভাগ করো
একদলা ভাগশেষ থাকে —
ইলিশমাছের তেল অথবা জলপাই চাটনি দিয়ে মাখা;
শূন্য করে আনা যায় না কোনও বাবাকেই।
বন্ধু নেই, কিডনি নেই, তবু ঢলঢলে ফুলপ্যান্ট
ছেলেবৌ আনবে ব’লে চৌরাস্তায় এগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
যত কথা তার চেয়ে গলা খাঁখারি বেশি
ড্রাইভারের পাশে ব’সে ভুল পাড়ায় গাড়ি ঢুকিয়ে দিল

এই সব বাবা প্রেসার কুকারে টানা সিটি মারলেও
সেদ্ধ হবে না
গায়েব হয়ে যেতে পারে কিছুদিন আইসিইউয়ের ভেতর
শরীরে বারোটা নল, ছাদে তাকিয়ে চাঁদ খুঁজছে মহাকাশচারী…
বাবাই যে একঘেয়ে পৃথিবীর দাঁড়-টানা পাখি, কলমে সামান্য কালি
অথচ গল্পের অসীম কিস্তি জমা দিতে হবে —
সেটা কেউ তাকিয়ে দেখেছে?

দেখেছে সম্পর্ক — তাকে শিয়ালদায় ঢেলে-বিক্রি
দিস্তেখাতা বলে,
আস্তে লিখলে দাগ পড়বে না
জোরে লিখলে পাতা ছিঁড়ে যায়।
মেয়ে বিয়ের পর থেকে লোকটা আর কারও সামনে
চশমা খোলেনি
তারপর রাতের দোতলা থেকে নেমে আসতে গিয়ে
দুটো হাত মনমরা ইনহেলার, জলের বোতল…
নিজেরই গ্রন্থিত সিঁড়ি অন্ধকারে ধাক্কা মেরে
তিন ধাপ গড়িয়ে দেয় ঝুনো নারকোল,
রিক্ত অতিরিক্ত হয়ে ফাটে

ভাগশেষ রক্তদলা মুছে দিয়ো সকালের আলো

3 thoughts on “সন্তানপ্রণাম

  1. আপনার কবিতার ভাব এবং অনুভবকে আমি সর্বাগ্রে এগিয়ে রাখি, সম্মান করি।
    অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি চন্দন ভট্টাচার্য দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. বাবা যে রোদ বৃষ্টির ছাতা।  বাবা নাই যায় কপাল পোড়া তার। 

     

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।