জাতীয়সংগীত নিয়ে আলোচনা
আপনি কী?
আমি হিন্দু।
আপনি কী?
আমি মুসলমান।
আপনি কী?
আমি ক্রিশ্চিয়ান।
এইরকম চলছে….
অনেকে বলেন, প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল —
আপনার কী অসুখ?
আমি হিন্দু।
আপনার কী অসুখ?
আমি মুসলমান।
আপনার কী অসুখ?
আমি ক্রিশ্চিয়ান।
ইত্যাদি…
অবশ্য আধুনিক শিক্ষিত মানুষ এসব বস্তাপচা উত্তর দেয় না।
আপনি কী?
আমি গান্ধীবাদী।
আপনি কী?
আমি মার্ক্সবাদী।
আপনি কী?
আমি লাদেনপন্থী।
অনেকে তবুও বলেন, প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল —
আপনার কী অসুখ হয়েছে?
আমি গান্ধীবাদী
আপনার কী অসুখ হয়েছে?
আমি মার্ক্সবাদী
আপনার কী অসুখ হয়েছে?
আমি লাদেনপন্থী।
মার্ক্সবাদী হওয়ার অর্থ তুমি মার্ক্স হওয়ার রাস্তাটা বাইপাস করলে। খ্রিস্টান হয়েছ মানে আর যিশু হওয়ার ঝুঁকি নিতে হল না।
আস্থা (trust) আর বিশ্বাস (faith) শব্দদুটো খুব আলাদা। কোথাও আস্থা থাকুক অথবা অনাস্থা, ক্ষতি নেই; কিন্তু কখনও কোনও কিছুতে বিশ্বাস যেন না আসে, অবিশ্বাসও।
বিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের বুদ্ধি, বোধ বা ইন্টুইশানের কোনও সম্পর্ক নেই। তবু বিশ্বাস করতে পছন্দ করি, কারণ আরও অনেকে করছে। দলের সঙ্গেই যাওয়া ভালো; সেখানেই নিরাপত্তা, সম্মান, স্বীকৃতি। আর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বললে সবাই বিরোধী হয়ে যাবে — বন্ধু, প্রতিবেশী, বউ বা সোয়ামি, ছেলেমেয়ে পর্যন্ত।
আস্থা আমাদের মধ্যে আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে। আর বিশ্বাস ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সে বহিরাগত।
আরও একটা ব্যাপার এই যে, ফেইথ-এর প্রতিপক্ষ চাই। অন্যকে অবিশ্বাস করার ভেতর দিয়েই নিজের বিশ্বাসে জোর আনতে হবে। শুধু বন্ধু নিয়ে তো আসর জমে না, শত্রু না পেলে অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাব কার মাঠে!
আমাদের কাজ হোক প্রশ্ন করা, তাতে যদি নিজের ও অন্যের মনে কনফিউশান তৈরি হয়, তবুও। মরার সময় ফাঁকা মাথা আর শূন্য হৃদয় নিয়ে যাওয়ার চেয়ে এ অনেক ভালো। মনে রাখতে হবে, মান্না দে-ই আমাদের জাতীয়সংগীত: সন্দেহে ভরা হোক তোমার দুচোখ।
(পুরোনো পোস্ট)
আস্থা (trust) আর বিশ্বাস (faith) শব্দদুটো খুব আলাদা। কোথাও আস্থা থাকুক অথবা অনাস্থা, ক্ষতি নেই; কিন্তু কখনও কোনও কিছুতে বিশ্বাস যেন না আসে, অবিশ্বাসও।