মাথায় কি মাছ রেখে দেব?
না গো, কাতলের মুড়ো খেতে চায় না বাড়িতে
তুমি শুধু কানকো ফেলে ব্যাগে ভরে দাও, ডগি-টা রয়েছে
রান্নাঘরে বাজার নামিয়ে এক ঝটকায়
স্নানখাওয়া সারি
অফিসের গেটে মাছওলা বড় এক
ভেটকির আঁশ ছাড়িয়েছে
বাবু, মাথায় কি মাছ রাখতে হবে?
নারে ভাই, পাঁচ-ছ’ টুকরো করো,
ক্যান্টিনের আশপাশে বেড়ালবাচ্চা ব’সে থাকে
তারপর মহাবিদ্যালয় থেকে ফোন এল : বিকেলে আসিস, কতদিন গল্প হয় না!
বিভাগে ঢোকার মুখে খসখস ক’রে মাছওলা পিস করছে রূপচাঁদা —
মাছ ছাড়া মাথা লিখছি, স্যার
নয়ত টিচার-ছাত্র কেউ নম্বর দেবে না
বন্ধু নেই, চিরকুট রেখে গেছে দেখে রাগ হয়
ওহো, আজ না জলসা আছে
সংস্কৃতিভবনে?
টিকিটঘরের নীচে বঁটি নিয়ে অধিষ্ঠান মাছওলা, যদিও কোথাও নদী নৌকো ভাটিয়ালি চোখে পড়ল না
এই বৃষ্টিহীন মুখ নিশ্চিহ্ন ঘেঁটির দিকে তাকিয়ে সে বলে , মাছ রাখলে ভালো দেখাবে কি!
তার চেয়ে জমা দিয়ে অনুষ্ঠানে যান
মাঝখান থেকে ফেঁড়ে ডবল প্লাস্টিকে মুড়ে দেব
রাস্তাঘাটে এক ফোঁটা রক্ত গড়াবে না
যাপিত জীবনের গল্প কথা যেন কবিতার ভাব কথায় উঠে এসেছে। দারুণ।