মায়ের বুকে লুকানো পালকের ছামিয়ানা
অগ্রাহয়ণে থিতিয়ে আসে বানের জল
একেবারে শুকিয়ে যায় না; উচু মাঠের ক্ষেতগুলো জল শুকায়
তবুও ধান ক্ষেতে খড়ের নীচে; লালচে অথচ টলটলে রঙা জল
ক্ষেত জুড়ে মাঠের পর মাঠ; সেই জলে না না ধরনের শেওলা
পোকা মাকড়ের ডিমে ভরা; ব্যঙচি দল বেঁধে ঘুড়ে
এমনি নিড়ালা ক্ষেতে উচাটন ডাহুকি; ডাহুক এর প্রেমে জড়ায়
ধানের গহিন আব্রুর আদলে; বাসা বাঁধে ডিমে তা ছানা ফুটে
ছানা গুলোকে সাথে নিয়ে ঘুড়ে; মাঠ জুড়ে আইল পথে ঠুঁটে টুকে টুকে খায়
ছানা গুলো শঙ্খচিলের ডাক শুনে; মায়ের বুকে লুকানো পালকের ছামিয়ানা
হেমন্তের আবেশ
সন্ধ্যাবতীর পাশে খাল পাড় জেগে উঠে
বানে ভাসা আগাছা গুলো বেশ সবুজ সতেজ
পাড়ের গায়ে পলির আস্তরে।
হেলেঞ্চার প্রশারিত ডগা জলে
যেন ডরাসাপ জল সাঁতারে ঢেউয়ে বিলিকাটে
শেওলা জালে ভরা খালের জল;
ছোট ছোট মাছের আনাগুনা স্বচ্ছ জলে
ঢোল কলমির ঝাড় পাড়ের ধার ঘিঁসে
সাদা বেগুনী ফুলে হেমন্তের আবেশ
লজ্জবতীর শাখা প্রশাখা জলে বিছানো
কোন রাক্ষসী মাছ আচমকা টুপ করে গিলে ফেলে
লজ্জাবতীর পাতায় বসা ছোট্ট পোকা;
ঢেউয়ের কাঁপনে লজ্জাবতী ভিজে চুপসে যায়।
১৪২৪/১৪ অগ্রহায়ণ/হেমন্তকাল।
তোমার লিখা বরাবরই অসাধারণ হয়। অভিনন্দন প্রিয় মাটি ও মানুষের কবি বন্ধু।
হেমন্ত ভালোবাসা বন্ধু
আপনার এমন কবিতা ভালো লাগে কবি
কবিকে আমার হেমন্ত ভালোবাসা
ভালো লাগল কবিতা
ভীষণ সুন্দর উপস্থাপন;
প্রীতিময় শুভেচ্ছা ও ভালবাসা –
…<3
কবি ভাইকে আমার হেমন্ত ভালোবাসা।