হাডসন নদীর আস্ফালন

হাডসন নদীর আস্ফালন

তুষার ক্রান্তির পর
অভীপ্সারা জেগে উঠেছিল নিউ জার্সির ভয়ঙ্কর এর রাতে
প্রচণ্ড হিমে জমে যাওয়া রজঃসংক্রান্তির শেষ ক’ফোটা রক্ত-
উপেক্ষা করে ছুঁতে চেয়েছিল হাডসন নদীর স্রোত, অভিবাসী আত্মা!…
তীব্র শীতে কম্পমান ঠোঁট
নীল প্রলাপের মতন ধাবমান আগুনের নেশায়, পদে পদে হোঁচট-
যদিও জানতো আগুনের কোন সীমা- পরিসীমা নেই
দুর্বিনীত সত্তার এক পাদূর্ভাব পতিত হয় অন্তহীন ভাবোচ্ছ্বাসে;
বিস্তার করে কস্তুরীনাভ বৃন্তে-
নিউ জার্সির প্রতিটি ঘরের ছাদ যেন তুষার ঢাকা ধূসর প্রান্তর
জানালার শার্সিতে কৃষ্ণপক্ষ রাত, শ্রান্ত চোখে দেখে নেয়- রক্তের মৃদু উত্তাপ
স্খলনের পাপে- হাডসন নদীর অতলে আবিষ্ট আস্ফালন…।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

3 thoughts on “হাডসন নদীর আস্ফালন

  1. কবিতায় অসাধারণ সব উপমার ব্যবহার। শব্দগুলোন কঠিন লাগলেও লিখনীতে দারুণ মানিয়েছে মনে হলো। সহস্র শুভেচ্ছা রইলো স্যার। শুভ সকাল। :)

  2. কী যে কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করেছে কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Shock.gif.gif তারপরও শুভেচ্ছা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।