অক্ষরে অক্ষরে বুনি সখ্যতা, বুনি প্রেম- হৃদ্যতা
অক্ষরে অক্ষরে বুনি স্বপ্ন, অন্তরে- অন্তরে শুনি মর্মকথা
শুনি গান, বৈষ্ণব পদাবলী, পুঁথির শ্লোক- প্রিয় কবিতা
অক্ষরে অক্ষরে খুঁজি শেকড়, অস্তিত্বের উদ্যান,প্রাণের স্বাধীনতা
অক্ষরে অক্ষরে…
অক্ষরে অক্ষরে হই সীমাহীন, খুঁজি প্রাচীন সভ্যতা
কবেকার বক্ষ ছিন্ন করে লক্ষ্যভেদী অগ্নি শিখা- চির অনির্বাণ
অক্ষরে অক্ষরে পূরণ শূন্যতা- রাজ জয়শ্রীর সন্তান।
বাঁধি আশা বুকে
নির্মিলিত স্বপ্নের ঘোর দু’চোখে
অক্ষরে অক্ষরে ভালবাসি
ভালোবাসি ফুল, নদী ,প্রজাপতি ,কত কি সর্বনাশী ভুল!
অক্ষরের সাক্ষরে পোক্ত করি জন্ম জন্মান্তরের উসুল।
অক্ষরে অক্ষরে খুঁজি মোক্ষ, বালখিল্যতা
অহল্যার অক্ষরে নামাই বৃষ্টি- রিমঝিম মধুর সুর
অক্ষরে অক্ষরে সৃষ্টি আবহ- নিতি নৃত্যের রবি ঠাকুর!
আসে যৌবন পলাশ রাঙ্গা হিজলের বন
অক্ষরে অক্ষরে হাসে- সৃষ্টি সুখের উল্লাসে নজরুলের দামাল মন।
অক্ষরে বাঁধি
অক্ষরে কাঁদি
অক্ষরে জুড়াই তৃষিত প্রাণ!
দ্বীধা সংকোচে অজস্র অক্ষরে ঘুচে ক্ষুধা, সংগুপ্ত নির্বাণ
এই ধরণী তলে- আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে কাঙ্ক্ষিত অক্ষরেরই করি সন্ধান।
হিসেবের অক্ষরে কষি অংক,
কবেকার চাওয়া-পাওয়া; বেহিসাবি লেনদেন
যুক্তাক্ষরের পেঁচানো গড়িমসি, ভাংতে পারিনা অসংখ্য জড়তা
অক্ষরের বুকে অক্ষর রেখে, জীবনের বাঁকে বাঁকে জাগাই নদী সঙ্গমের কবিতা।
রুক্ষ অক্ষরের সূক্ষ্ম গ্লানি মুড়ে থাকে বিষাদের অন্তরে
রাতের পাঁজর খুলে উড়ে যায় শপ্তর্ষির প্রেম, নীল অক্ষিসারে পড়ে থাকে রুদ্রাক্ষর।
১-৫-১৭
মোক্ষ খুঁজি অক্ষরে অক্ষরে ।। দাউদুল ইসলাম
দারুণ ভাবনায় চমৎকার চয়ন।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি
রুক্ষ অক্ষরের সূক্ষ্ম গ্লানি মুড়ে থাকে বিষাদের অন্তরে
রাতের পাঁজর খুলে উড়ে যায় সপ্তর্ষির প্রেম, নীল অক্ষিসারে পড়ে থাকে রুদ্রাক্ষর।