কবিতায় তোমার ব্যবচ্ছেদ হতে পারতো
শব্দ আর অক্ষর গুলোকে আমি চিরতরে নিষিদ্ধ করলাম।
পেন্সিল স্কেচ অথবা জলরঙে প্রকাশ পেতে পারত- তোমার বেহাল্লাপনা
তাবৎ তুলি আর পেন্সিল কাটার গুলো নি-স্পর্শ করে দিলাম……
যদিও জেনে বুঝে তুমি ফিরে গেছো নস্টালজিক জলসা ঘরে
যে আসরে – ক্যু চক্ষের বহুগামী সভাসদ, লেলিহান জিহ্বা কিলবিল করে
অশ্লীলতা সেখানে সভ্যতার মসনদ গড়ে নিয়েছে ইতিমধ্যে…
সবিই তো তোমার মুখ থেকে জানলাম আমি-
আশা হত কবির মত
নিভৃত প্রার্থনা ছাড়া কি-ই বা করার আছে আমার?
তুমি বারোমাসি ফলজ বৃক্ষের মত অমূল্য সাহা
আমি হত দরিদ্র, বাস্তুহারা
কৃত্রিমতায় আমার কেন পোষাবে বলো?
অলকানন্দার জলে ভেসে যাওয়া হৃদয়
যদি কোন দিন সাহারার তৃষ্ণা মেটায়
অলীক স্বপ্নের এই প্রবোধে নিজেকে থামিয়ে রাখি অপেক্ষার প্রহরে…
কাগুজে নৌকায় ভেসে স্বপ্ন পূরণের স্বপ্ন আসবে
অথবা-
প্লাস্টিকে তৈরি বাহারি ফুলে জমকালো অভ্যর্থনা!
এর কোনটাই আমার করতে পারিনা-
আমি চাইলে পৃথিবীর সবচেয়ে-
নোংরা শব্দে তোমার উপমা বিতরণ করতে পারতাম
অথচ ক্ষমা তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে;
চোখের জল পান করতে করতে
বুঝে নিয়েছি রক্তের স্বাদ… তুমি উন্মাদ হও বেগানা রসে
বিষাক্তের বিষে…
কিন্তু তীর্থের কাকের মত তোমার জীর্ণ মুখ- সইবেনা আমার…।
বুঝে নিয়েছি রক্তের স্বাদ… তুমি উন্মাদ হও বেগানা রসে
বিষাক্তের বিষে…
কিন্তু তীর্থের কাকের মত তোমার জীর্ণ মুখ- সইবেনা আমার…