আত্মা হে
হে প্রিয় আত্মা আমার
তুমি কি খুঁজে পেয়েছ আমাকে?
আমি তবে কেন পাইনি তোমায়
আমার নিঃশ্বাসের নিবিড়ে থেকেও
কেন যোজন যোজন দূরত্ব তোমাতে আমাতে!
কেন এতো হাহাকার
সহিংসতা
নীরব স্রোতে ভেসে যাওয়া কান্নার শ্লোক
পুলক দুলক ছেদ করে
কোথা হতে আসে এতো দীর্ঘশ্বাস
অর্ঘ্য পোড়া উত্তাপ!
আত্মা হে
আমি কি সে-ই?
যে মাঘী বিকেলের ধোয়াশার ভেলা চড়ে
একফোঁটা শীতের মতো টুপ করে ঝরেছিলেম
পাতা ঝরা বৃক্ষের কর্কশ শরীরে!
নাকি
আদৌ আমি যুদ্ধরত একাকী সৈনিক
যার কদমে কদমে পেচিয়ে আছে গুপ্ত আততায়ী
যার বেদনার্ত চিৎকার
পৃথিবীর মায়া মোহে নামিয়েছে সমগ্র অন্ধকার!..
কিন্তু সেখানে তো
নির্মল হাসিও আর একবিন্দু আলোই যথেষ্ট!
শব্দ বোধন দিনে
আমি ছুঁয়েছি এই মাটি
ছুঁয়েছি একটি নূরবিন্দু
অথচ
সেই আমি খাঁটি রশ্মি হয়েও
রচনা করেছি- এই মোহগ্রস্ত জীবন!
এই অন্ধকার তাড়া করতে করতে
আমি পৌঁছেছি এক অমৃত শব্দের সামনে
একটি উড়ন্ত পাখি ক্লান্ত চিত্তে মেলে আছে ডানা
বৃক্ষের শাখায় স্পন্দিত দীর্ঘশ্বাস
একটি মায়াকণ্ঠী গান
কুয়াশার দেয়াল ভেদ করে দেখেছি স্ফটিক সকাল!
হে আত্মা
হে আমার প্রিয় আত্মা
এতো ডাকি
শুনো হে… ঘুমাইছো নাকি?
.
১২ই মাঘ
২৫/১/২৩
আমি যুদ্ধরত একাকী সৈনিক
যার কদমে কদমে পেচিয়ে আছে গুপ্ত আততায়ী
যার বেদনার্ত চিৎকার
পৃথিবীর মায়া মোহে নামিয়েছে সমগ্র অন্ধকার!..
কিন্তু সেখানে তো
নির্মল হাসিও আর একবিন্দু আলোই যথেষ্ট!