কষ্টের অসহযোগ

002_n

আফসোস!
যদি একবার বিশ্বাস করতে
যদি একবার হাত বাড়িয়ে দেখতে…
কেন বুঝোনি?
তুষের অনল নিভৃতে জ্বলে
জ্বলতে
জ্বলতে
পুড়তে
পুড়তে
ছাই হয়ে উড়তে উড়তে
আমি
সুযোগ পাইনি তোমাকে বোঝাতে!

আফসোস!
যদি একবার পড়তে
সহস্র কবিতার যে কোন একটি!
তবে-
নিজের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারতে;
বুঝতে
আমার অজস্র রাত… বিনিদ্র যন্ত্রণা…
এক একটি মুহূর্ত
ছুঁতে পারতে-
বেদনা বিগলিত কান্না আর সম্যক উপহাস!…

আমার মত নিরীহ কবির কি করার থাকে?
একটা দীর্ঘশ্বাস!
আর তেপান্তরে মিলিয়ে যাওয়া অবধি
যে যায় তার দিকে চেয়ে থাকা;
যতক্ষণ না থামছে অন্তঃপুরের ধড়পড়…
অশ্রু গড়া দাগ
তারপর…..
বিহ্বল চিত্তে এক আকাশ গ্লানি আকণ্ঠ হতে হতে বরণ করি নিত্যকার সর্বনাশ!

….. আর কুয়াশার ধোঁয়াশায় ঘিরে উঠা নিকষ অন্ধকার, আরাধ্য দুর্ভোগ
অদৃষ্টের মর্মরে চলতে থাকে কষ্টের অসহযোগ!

.
২/২/১৪ (প্রথম রচনাকাল)

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

1 thought on “কষ্টের অসহযোগ

  1. কুয়াশার ধোঁয়াশায় ঘিরে উঠা নিকষ অন্ধকার, আরাধ্য দুর্ভোগ
    অদৃষ্টের মর্মরে চলতে থাকে কষ্টের অসহযোগ! https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।