যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়
অতিন্দ্রিয় এক বার্তা কিভাবে আসে আমি জানি না। কিন্তু আমি জানি যখন অন্ধাকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়। বলে-“ জাগো আনন্দোৎসবে আর প্রস্তুত হও, দ্যাখো বসন্ত আসছে অই আর শোন গ্রীষ্মের আগমনী সংগীত। শুন, শীত আজ মৃত।” সুতরাং বার্তা এসে গেছে, বসন্তের আমেজ সারা বন-প্রান্তরে।
এবং মনে হতে তো পারেই, পৃথিবী জীবনের নব-জাগরনে উঠেছে জেগে। যে পাখি ডাকেনি আগে কখনো ডেকে উঠলো। শীতের তীব্র মৃত হীম হাওয়া উধাও এবং গাছেরা সবুজ শাড়ীতে আবৃত হয়ে নব-বধুর সাজে সলজ্জ সজ্জিত। ফুলেরা উকি মেরে দেখছে শীত গিয়াছে কিনা, তারা প্রস্ফুটিত হতে চায় লাজ-রাঙা সাজে খুলে ফেলে অবগুন্ঠন।
এবং আরেক বার্তা এসে যায়। একমাত্র এই সময়ে সে বলে,“ তোমার প্রস্তুতি শেষ করো, সামনে এগিয়ে যাও, এলো গ্রীষ্ম তার সাথে সাক্ষাত করো।” এবং তাইতো পাখিরা, গাছেরা আর ফুলেরা সামনে এগিয়ে যায়, গোল হয়ে নৃত্য করে গ্রীষ্মের দরবারে আর গ্রীষ্ম তার উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়, তাদের সকলকে জড়িয়ে ধরে।
এবং আরেক বার্তা এসে যায়। সকলের হৃদয়ে দু:খ ছড়িয়ে দিয়ে বলে,“ বল বিদায় হে গ্রীষ্ম আর হেমন্তের সাজে নিজেকে সাজিয়ে নাও।” এবং তারা জেনে যায় শীতের আর দেরী নাই,সেইসব ঔষধি ফলন ফলে যায় , ফলেনি যা আগে। আর তারা জেনে যায়, সময় হলো তাদের বিয়োগের তাই তারা বীজের মাঝে নিজের অস্তিত্বকে স্থানান্তরিত করে নেয়। গাছেরা নেয় উজ্জ্বল রূপ গ্রীষ্মকে প্রলুব্ধ করতে। এখন সময় মহান উৎসবের, বছরের অল্প সময়ে যা দৃশ্যমান হয়। সমস্ত জল-জঙ্গল গ্রীষ্ম রাজের শেষ রাজস্ব দিয়ে যায়, শীতের ভয়াল থাবায় লগ্নী হওয়ার আগে শেষ মুক্ত নি:শ্বাস নিয়ে নেয় তারা।
এবং নদীর জলের থেকে আলাদা হয়ে যায় ডোবা আর পুকুরগুলো; এখন তারা স্বতন্ত্র আর শূণ্য নয়, এখন তারা বিস্মিত সুন্দর। গাছের উজ্জ্বল পাতারা ঝরে পরে পুকুরের জলে, কাদারাঙা জলের মাঝে একটা রঙের আচড় টেনে যায় এবং সমভূমিগুলো ঝরা পাতার রঙে চিত্রময় হয়ে উঠে। বাতাসে মচমচ আনন্দ আর সূর্য্যের আলোর ফোকাসে চিক চিক আলো-স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দেয়। গাছের ডালে পাখিরা দৃশ্যমান হয়ে উঠে, কাঠবিড়ালী আর খরগোশেরা আর লুকোতে পারে না পাতার আড়ালে।
এবং শীত আসে কুয়াশার চাদর আর বরফের স্বচ্ছতা নিয়ে। শিশিরের ছোঁয়া আর বরফের আচ্ছাদনে শীতও অনন্য সৌন্দর্য্য নিয়ে আসে হৃদয়ে যখন সূর্য্য উকি দেয় চিক চিক আলো নিয়ে। কিন্তু জঙ্গলের প্রাণীরা সে সৌন্দর্য্যে মেতে উঠে না। ঠান্ডা মৃত্যু আর তারা ক্ষুধার্ত। তারা বসন্তের আগমনী বার্তার অপেক্ষা করতে থাকে। অতিন্দ্রিয় এক বার্তা কিভাবে আসে আমি জানি না। কিন্তু আমি জানি যখন অন্ধাকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়। বলে-“ জাগো আনন্দোৎসবে আর প্রস্তুত হও, দ্যাখো বসন্ত আসছে অই আর শোন গ্রীষ্মের আগমনী সংগীত। শুন, শীত আজ মৃত।” সুতরাং বার্তা এসে গেছে, জীবনের আমেজ সারা বন-প্রান্তরে।
যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়।
শিরোনামটিই কবিতা বা মন আলাপনের সার্থক চিত্রালাপ।
অভিনন্দন প্রিয় বন্ধু ফকির আবদুল মালেক।
কিন্তু আমি জানি যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়। বলে- “জাগো আনন্দোৎসবে আর প্রস্তুত হও, দ্যাখো বসন্ত আসছে অই আর শোন গ্রীষ্মের আগমনী সংগীত। শীত আজ মৃত।”
অনবদ্য লেগেছে কবি! শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক ভালো লেগেছে কবি।
যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে সর্বত্র তখন এই বার্তা আগত হয়।

এবং মনে হতে তো পারেই, পৃথিবী জীবনের নব-জাগরনে উঠেছে জেগে। যে পাখি ডাকেনি আগে কখনো ডেকে উঠলো। শীতের তীব্র মৃত হীম হাওয়া উধাও এবং গাছেরা সবুজ শাড়ীতে আবৃত হয়ে নব-বধুর সাজে সলজ্জ সজ্জিত। ফুলেরা উকি মেরে দেখছে শীত গিয়াছে কিনা, তারা প্রস্ফুটিত হতে চায় লাজ-রাঙা সাজে খুলে ফেলে অবগুন্ঠন।
বার্তা সংকলন কি এক অনভুত তেজ ও আবেদন নিয়ে আবেশিত করে দিল যেন আমাকে !!!
বার্তা সংকলন কি এক অদ্ভুত তেজ ও আবেদন নিয়ে আবেশিত করে দিল যেন আমাকে !!!