বিজয়
ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুঁই-ছুঁই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব আওয়াজ ছড়িয়ে
এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-
উঠানে বিছানো ধান-খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল এলোপাথাড়ি
লড়াইরত বিড়াল দু’টি ছুটে গেল পাশাপাশি একই নিরুদ্দেশে
এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের পাল দিকভ্রান্ত ছোটাছুটি
শুরু করল অত্যাসন্ন রক্তপ্লাবন আশঙ্কায়-
এবং রেল লাইন, কালভার্ট, সেনাক্যাম্প পরিণত হলো ধ্বংসস্তুপে
এবং দুই দশকব্যাপী ক্ষমতার স্বাদে অভ্যস্ত, গত নয় মাসে দুর্দান্ত ক্ষমতাধর
ফাইজুদ্দি হাজি মুখ থুবরে পড়ে রইল বড় রাস্তার পাশের বটগাছের তলায়
এবং অনিয়মিত বাহিনীর ভালোবাসা-ঘৃণা-উল্লাস-উত্তাপে
পিছু হঁটা পিশাচ আত্মসমার্পণের জন্য খুঁজে ফিরল নিয়মিত বাহিনী
এবং তখনো আমি দৃশ্যপটে আসিনি
আমার আগমনের পূর্ণ প্রস্তুতি তখনো সম্পন্ন হয়নি
আমি তখনো মায়ের দেহের সাথে একীভূত।
ভাষাগত সংঘাতে জমাটবাঁধা রক্ত থেকে আমার সূচনা
আত্মস্বীকৃতির অভিপ্রায়ে মাংসপিন্ডে রূপান্তর
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম’
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’
এবং অসমাপ্ত প্রস্তুতিপর্ব
এবং প্রসববেদনা
আমি রক্তাক্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জড়ায়ু ছেড়ে।
আমি রক্তাক্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জড়ায়ু ছেড়ে।
– এই লাইনটি আমার কাছে কিংবদন্তীর মতো লাগে। অশেষ শুভকামনা প্রিয় কবি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনোমুগ্ধকর কাব্য
বেশ বেশ কবি দা
খুব ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর লেখা