ইসলামের দৃষ্টিতে যৌনতাঃ একটা সাধারণ মতামত

জামাতের আমীর শফিকুর রহমানের একটা বক্তব্য কোট করছি।

ফুল কোটটা হচ্ছে, ” প্রস্তাবনায় ম্যারিটাল রেইপের কথা এসেছে। রেপ তো দুইটা অসৎ পুরুষ আর নারী যখন একত্রিত হয় বিবাহবহির্ভুত পন্থায়, সেটার নাম রেপ হবে। বিবাহিত জীবনে রেপে প্রশ্ন আসলো কেন?””

FB_IMG_1746081174238

তিনি অসৎ মানুষ পুরুষ ও নারী বিবাহবহির্ভূত পন্থায় সেক্স করলে তাকে রেপ বলেছেন।

উনার বক্তব্য হচ্ছে, সৎ বা অসৎ নারী পুরুষ বিবাহিত হলে সেক্সকে রেপ বলা যাবে না।

আবার দুইটা সৎ নারী পুরুষ যখন একত্রিত হয়ে বিবাহবহির্ভূত সেক্সকে রেপ বলা যাবে কিনা এব্যাপারে তার বক্তব্য নাই।

উনি ইসলামের দৃষ্টিতে কথা বলেছেন। বিবাহবহির্ভূত যে কোন সেক্স ইসলামে কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেটা ইচ্ছাকৃত বা জোর করে হোক।

আর বিবাহিত সেক্সকে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রসংসিত কাজ বলা হয়েছে। একে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং যখন খুশি সামর্থ্য অনুযায়ী সেক্স করতে উৎসাহিত করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষ বা নারীর শরীরের হরমোন জনিত যে সেক্সের চাহিদা হয় তা বিবাহিত উপায়ে মিটিয়ে ফেলতে হবে। একবার বোতল খালি হয়ে গেলে অন্যকে বিবাহবহির্ভূত সেক্সে বাধ্য করা (রেপ) করা বা অন্যকে রাজি করানোর শারীরিক চাহিদা মিটে যায়। বিজ্ঞান কি বলে এটা বিষয় নয়, এটা ইসলাম বলে বেশি বেশি বিবাহিত যৌনসঙ্গম কর, সমাজ থেকে রেপ বা সম্মতিতে যৌন অত্যাচার দূর হয়ে যাবে।

মেয়েরা রেপ করতে পারে না। রেপের পুরো ব্যাপারটাই পুরুষের দ্বারা ঘটিত অপরাধ। এই অপরাধ হয় যখন শরীরের হরমোনগুলি নিঃশেষ না হয়ে জমে উঠে। ইসলাম নারীকে বলেছে তারা যে সমাজের বা রাস্ট্রের ভিতরে যৌন অপরাধ সংগঠিত হবার সুযোগ না দেয়। রেপ যেহেতু পুরুষ কর্তৃক সংগঠিত একটা শারীরিক অপরাধ তাই পুরুষের বৈধ সেক্সে কোন বাধা হয় এমন সকল পদক্ষেপ বাদ দিয়ে যতদ্রুত তার যৌন চাহিদাকে বৈধ পথে, নিয়ন্ত্রতিত পথে মিটিয়ে ফেলাতে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

ইসলাম এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট এবং কার্যকরী নির্দেশনা দিয়েছে। আর নারীবাদীরা পুরুষকে অপরাধী করে তুলছে।

এখানে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, বিবাহিত লোকও রেপ করে, বাচ্চাদেরকে রেপ করা হয়। এটা অসৎ পুরুষের স্বভাব।

না, ইসলামের প্রতিটি ব্যাপার খেয়াল করতে হবে-
১. মেয়েরা যৌন অঙ্গ প্রদর্শন করবে না। ইসলাম মনে করে এতে পুরুষ রেপ করার মত অপরাধী হয়ে উঠতে পারে।
২. ইসলাম বলে মেয়ে ছেলে সকলেই প্রাপ্ত বয়সের শুরুতেই বিয়ে করে নেক। যাতে করে ইচ্ছেমত সেক্স করে শরীরের সকল সেক্স হরমোন খালি করে দিতে পারে। এতে পুরুষের রেপ প্রবনতা কমে যাবে।
৩. এমন কি পিতা মাতার সাথেও পুর্ন যৌবন প্রাপ্ত ছেলে মেয়েদের একান্তে অবস্থান করতে নিষিদ্ধ করেছে। নিষিদ্ধ করেছে ভাই বোনের একসাথে একান্তে একসাথে অবস্থান। দাদা নাতনীকে এরূপ অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে।
৪. প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেরা বা মেয়েদেরকেও একত্রে একান্তে অবস্থান করতে নিষিদ্ধ করেছে। যাতে করে সমকামিতা না হতে পারে।
৫. এমনকি পশুকাম ইত্যাদি বিষয়গুলোও ইসলামে অলোচিত হয়েছে।

ইসলাম কেবল বিবাহিত সেক্সকে অবাধ করেছে, কোন ধরনের বাধা এতে তৈরী হয় এমন সব নিষিদ্ধ করেছে। এবং বিবাহিত সেক্সকে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য সওয়াবের কাজ বলে উৎসাহিত করা হয়েছে।

যে যা বলুক ইসলাম তার বিধান স্পষ্ট করেছে।
আমি মনে করি, ইসলাম অনুশীলন করলে সমাজের প্রভুত কল্যান হবে এবং ইসলাম নারী বা পুরুষ কারোর উপর কোন অন্যায় নীতি চালিয়ে দেয়নি। যে সমাজ ইসলামকে পুরোপুরি নিবে সেখানে অনেক অপরাধ প্রবনতা কমে যাব, কমে যেতে বাধ্য।