বিএনপিই এখন সারাদেশে নিয়ন্ত্রণ করছে। এর জন্য নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাদের ক্ষমতা দরকার। রাজনৈতিক দল ক্ষমতা চাইবে এটা তারা চাইতে পারে কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিকালীন সময় এই আলটিমেটাম যদিও ইউনুস স্যারের ডিসেম্বর থেকে জুন থিউরির বাইরে নয়, তবু আটনেটাম না দিয়ে সময়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারত।
বিএনপির এই চাওয়া, এটা সবায় চায়। কিন্তু ইউনুস স্যার কোন জবাবদিহিতা দিতে প্রস্তুত নয় বলে মনে হইতাছে। এটা তার ভাবমূর্তি অনেক খারাপ করবে। তার ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে যা করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন-
* জুলাই হত্যার বিচারের কাজ কতদিনে দৃশ্যমান হবে তার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে।
* সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনই দিতে হবে।
* নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
ছাত্র জনতার দলকে রাজনৈতিক ভাবে জাতির কাছে হেয় করেছে এই সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এই সরকার নিজের উপর তার দায়িত্ব নিয়েছে। ভেবেছে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে আসবে এই ঘোষণা। সকলকে একমত করা এইদেশে অসম্ভব, ইউনুস স্যারের তেমন নেতৃত্বগুন নেই যাতে করে সকলকে একত্রিত করে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে। এটা আলাদা গুন যা এই সরকারের নাই। তবু তারা এই দায়িত্ব নিজেরা নিয়েছে।
সরকার দিতে পারবে না। এনসিপিসহ সমমনা দলগুলো একত্রিত হয়ে এই ঘোষণা দিতে হবে এবং বলতে হবে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করাই তাদের রাজনীতি। এই সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা সরকার। আর যাই হোক জুলাই ঘোষণা ঐক্যমতের ভিত্তিতে হওয়ার সম্ভাবনা কম, একেবারেই সম্ভাবনা নেই বলতে হবে। এটা এই সিদ্ধান্তহীনতা ভোগা সরকারের কাছে সময় ক্ষেপন করার কোন প্রয়োজন নেই বলে কেউ কেউ মত দেন।
লেখক যুক্তির মাধ্যমে দেখিয়েছেন, কেবল ক্ষমতা দাবি নয়—সময়োপযোগী ব্যাখ্যা, জবাবদিহিতা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এখন জরুরি। ইউনুস স্যারের ভাবমূর্তির প্রসঙ্গটি বাস্তববাদী, এবং তার করণীয় বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা লেখাটিকে আরও তাৎপর্যময় করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঠিকই লিখেছেন, দাদা। লেখা পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানবেন।