যারা এর আগে দখল করতে চেয়েছিল আমাদের
জল ও শ্যামল, তারা আবার নখর দেখায়।
চারপাশে সর্প-প্রজাতির ফণা দেখে এখন আর
ভীত হয় না প্রজন্মের সন্তান। বরং তারাই
তৈরি নেয় কৃত্রিম ব্ল্যাকআউটের ম্যানহোল।
একসাথে আঁধার নেমে আসে বাংলার ব্লগাকাশে।
এমন আঁধার পঁচিশে মার্চের রাতেও নেমেছিল,
কেঁদেছিল বাংলার ফুল, ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে
পাখিরা ত্যাগ করেছিল বনের সংসার। আর মানুষের
লাশে লাশে ছেয়ে গিয়েছিল,
মধুর ক্যান্টিন থেকে মেঘনা- ধলেশ্বরি নদী।
এখন এই বাংলায় পশ্চিমা হায়েনারা নেই।
তবু কার প্রেতাত্মা হত্যা করতে চাইছে আমাদের
বিশুদ্ধ শব্দধ্যান ! কারা, বন্দী করতে চাইছে
আমাদের সৃজনশীল চিন্তার স্বাধীনতা !
এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজে কাতারবন্দী হয়েছে
সেই জাগ্রত প্রজন্ম। যারা মুক্তিসংগ্রাম দেখেনি,
তারাই চার দশক পর অন্বেষণ করছে
একাত্তরের সচল অস্তিত্ব।
আমরা আবারও মনিটরিং করছি সেই ব্ল্যাকআউট।
আবারও দেখছি, কীভাবে আমাদের মানচিত্রে
দাঁত বসাতে গলা বাড়াচ্ছে ঘাতক কালোজিরাফ,
কীভাবে নষ্টচিলগুলো আঁকতে চাইছে থাবার আঁচড় ।
জানি অন্ধকার মানুষের অদৃষ্ট নয়। বরং আলোর
বিনম্র প্রেম বুকে নিয়ে উঠবে যে চাঁদ,
মানুষ তার ছায়ায় খুঁজে নেবে নিজেদের ভবিষ্যত।
প্রেমিকাদের খোঁপায় গুজে দেয়া কালোগোলাপগুলো,
নিমিষেই শাদা হয়ে যাবে।
‘এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজে কাতারবন্দী হয়েছে
সেই জাগ্রত প্রজন্ম। যারা মুক্তিসংগ্রাম দেখেনি,
তারাই চার দশক পর অন্বেষণ করছে
একাত্তরের সচল অস্তিত্ব।’
ভালোলাগায় মুগ্ধ! আরেক জন ফকির ইলিয়াস কী জন্মাবে!
ভালোলাগায় মুগ্ধ! আরেক জন ফকির ইলিয়াস কী জন্মাবে!
ভালো লাগলো