তাঁকে প্রাচ্যের নক্ষত্র বলা হচ্ছে। তাঁকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সম্ভাবনাময় একটি দেশের নেতা। মানুষকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আর্ত মানবতায়। জাতিসংঘে এসে বলে গিয়েছেন, ষোলো কোটি বাঙালী ভাত খেতে পারলে, দশ লাখ রোহিঙ্গাকে শরণার্থীর সম্মান দিতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অন্যতম বড় পরিচয় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক খালিজ টাইমস এ তাগকে নিয়ে একটি কলাম ছাপা হয়েছে। এটি লিখেছেন –
খ্যাতিমান কলামিস্ট এ্যালন জ্যাকব।
এতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রতি মানবিক আবেদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা হয়েছে। তাকে প্রাচ্যের নতুন নক্ষত্র হিসেবে অভিহিত করেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বহুল প্রচারিত দৈনিক খালিজ টাইমস।
এ নিবন্ধে লেখক লিখেছেন, ‘লাখ লাখ রোহিঙ্গার জীবন রক্ষায় সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপন্ন মানুষের জীবন রক্ষায় শেখ হাসিনা তার যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন, সে জন্য এ সময়ে তার চেয়ে বড় কোন মানবতার উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখছি না।’
জ্যাকব স্বীকার করেন, স্বৈরাচারী, ঘৃণিত গুরু এবং নামগোত্রহীন লোকদের নিয়ে লেখার আগেই আমাদের উচিত ছিল শেখ হাসিনাকে এই পাতায় উপস্থাপন করা।
জ্যাকব তার কলামে লেখেন, লেখার বিষয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই আমাকে সব সময় কোন বিষয় এবং ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ভাবতে হয়, যদিও এ সপ্তাহে আমার লেখার বিষয় নিয়ে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো দক্ষিণ ভারতের একজন অভিনেতা এবং রাজনৈতিক মাঠে তার আশাবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে, কিন্তু আমি যখন বুঝতে পারলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন প্রাচ্যের নতুন তারকা তখন আমার সিদ্ধান্ত বদলালাম।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা এই মহৎ সুযোগটি হারিয়েছি কারণ মিয়ানমারে একজন নোবেল বিজয়ীর উজ্জ্বলতা হারানোর বিষয় নিয়ে মিডিয়া অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো বলে। একটি অপরাধের বোঝা আমাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আর সেটা হল গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক আবেদনটি অবজ্ঞা করায়। এতে তার হৃদয় ভেঙ্গে গেছে বলে ভাষণে জানিয়েছেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জ্যাকব বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতারা যখন বিশ্ব মানবতার কর্ণধার হন তখন আবারো আশার আলো জ্বলে ওঠে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত বিশ্বে। তার কর্মকাণ্ড প্রথমে ক্ষীণ মনে হয়েছিল, তবে রোহিঙ্গা সমস্যা প্রত্যক্ষ করতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে খালিজ টাইমস্ যখন
একজন রিপোর্টার পাঠাল তখনি প্রকৃত সমস্যাটি খালিজ টাইমস্ এর সামনে চলে আসে। জ্যাকবের বর্ণনায় উঠে এসেছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবর্ণনীয় দুর্দশার চিত্র। ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা খাদ্যের জন্যে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছে, জরা-জীর্ণ কুটিরে বসতি গড়েছে। এ ঘটনা আমাদের খুবই ব্যথিত করেছে।
জ্যাকব তার কলামে লিখেছেন, সুচির চোখে বিশ্ব গণমাধ্যম রোহিঙ্গা সঙ্কটকে দেখার জন্য অবশ্যই অপরাধী। দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়ে দেশছাড়া হওয়া রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে সুচিকে অসহায় মনে হয়েছে। অনেকেই অনুধাবন করতে পারেনি যে, দুই বছর আগে তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি নির্বাচনে বিজয়ী হলেও এখন পর্যন্ত দেশটির সামরিক জান্তাই মূল ক্ষমতায় রয়েছে।
জ্যাকব আরও বলেন, যখন সু-চির সবচেয়ে বেশি উচ্চকণ্ঠ হওয়ার দরকার ছিল তখন তিনি সোচ্চার হতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তথাকথিত এই আইকনের জন্য আমার বিন্দু পরিমাণ সহমর্মিতা নেই বললেই চলে। এটি অবশ্যই ত্রুটিপূর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে যখন গণতন্ত্র পছন্দসই সংখ্যাগরীষ্ঠের পক্ষে যায়। আর জান্তা ও একনায়কদের সঙ্গে সন্ধি করা সহজ হয়ে যায়। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সু-চির সুচিন্তিত নীরবতা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আমি একথা বলেছি আমাদের একটি সম্পাদকীয়তে। আরও বলব, যখন মানবতার জন্য চিৎকার করে কথা বলা উচিত তখন কারও নিশ্চুপ থাকাটা আমার অপছন্দ।
জ্যাকব বলেন, সু-চি কণ্ঠস্বর যখন হারিয়েছেন এমন সময় শেখ হাসিনার সোচ্চার হয়ে ওঠা এক বিরাট স্বস্তি। সুচি ও শেখ হাসিনা উভয়ে তাদের নিজ নিজ দেশের
মুক্তি সংগ্রামের মহানায়কের কন্যা। দু’জনই খুব কাছ থেকে ট্র্যাজেডি দেখেছেন। যদিও ফারাকটা বিশাল। মানবতা যখন বিপন্ন তখন সুচি বেছে নিলেন নিছক দর্শক হয়ে থাকার পথ আর শেখ হাসিনা দেখালেন অমায়িক দয়া ও মানবিকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনার প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ছোট্ট দেশটিতে একবারে ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন এটা তার উদার মনের পরিচয় বহন করে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে অধিবেশন চলাকালে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে তিন লাখ শরণার্থী পেয়েছি, কিন্তু আমাদের স্থান সংকুলানের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আরও বেশি শরণার্থী গ্রহণের বিশাল হৃদয় আমাদের রয়েছে।
জ্যাকব লিখেছেন, ছোট দেশটির জন্য এই ট্র্যাজিক পরিস্থিতি সামলানোর উদারতায় অপরিসীম সাহস প্রদর্শিত হয়েছে। তিনি বলেন, ১২ লাখ শরণার্থী গ্রহণের সাহস দেখিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, এর সম্পদ সীমিত। এটি বাংলাদেশ সরকারের কারণে সৃষ্ট কোন সমস্যা নয়, তথাপি শেখ হাসিনা তার মানবিকতার জায়গা থেকে তবুও সরে যাননি। যে কাজটি শেখ হাসিনা করেছেন, তা একটি প্রতিদান মাত্র। কারণ তিনি ভুলে যাননি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থীরা কীভাবে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
আমাদের মনে আছে, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা হাল ধরার পর নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। সামরিক শাসনের অবসানে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা নতুন করে প্রবর্তনের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
১৯৯৮ সালে শতাব্দীর প্রলয়ংকরী বন্যা হয়েছিলো দেশে। সে সময় বিবিসিসহ অনেকেই প্রমাদ শুনেছিল, এবার সত্যিই বুঝি দুর্ভিক্ষ ও মহামারী লেগে অসংখ্য লোক মারা পড়বে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা হতে দেয়নি। কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে সার, সহজ শর্তে কৃষিঋণ এবং দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি সত্ত্বেও সেচের সুব্যবস্থা করে দিয়ে খাদ্যসহ দেশে কৃষি বিপ্লব সাধন করেছিলো। জাতীয় অর্থনীতিতে যেমন প্রবৃদ্ধি বেড়েছিল, তেমনি কমেছিল মুল্যস্ফীতি। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে জাতীয় অর্থনীতির সেই সাফল্য ধারাকে ধরে রাখতে পারেনি বরং তারা অপশাসনের মাধ্যমে দেশে খাদ্য সঙ্কটের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, যা সামাল দিতে হয় পরবর্তী মহাজোট সরকারকে।
আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে আলোচিত। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অর্জন অনেক। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উচ্চাসনে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ লাভ করেছেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে শেখ হাসিনা রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২৫ মার্চ ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে নারী ও শিশুশিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তিবৃক্ষ পদক’ পুরস্কারে ভূষিত করে। খাদ্য উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করে।
২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, ‘একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প’ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক ‘মান্থন এওয়ার্ড’ এবং জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দরিদ্রতা, অপুষ্টি দূর করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করায় ‘ডিপ্লোমা এওয়ার্ড’ পদকে ভূষিত করে শেখ হাসিনাকে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য আইএনইএসসিও, প্রধানমন্ত্রীকে কালচারাল ডাইভারসিটি পদকে ভূষিত করে। ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন ব্রেক্রো এমপি প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য অবদানের জন্য গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
তিনি পান সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড। স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) সাউথ সাউথ নিউজ এবং জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১১ : ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট হেলথ এই পুরস্কারে ভূষিত করে।
শিশুমৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি-৪ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। একই বছরে আন্তর্জাতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য এসটি পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটি প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। এই সময়ে বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯’-এ ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৫ সালের জুন মাসে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া। ২০০০ সালে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকন ওমেনস কলেজ ‘পার্ল এস বাক পদক’ প্রদান করে। একই বছর ব্রাসেলসের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অনারিয়াস কসা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ‘ইউনিভার্সিটি অব বার্ডিগ্রেপোট’ বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ‘ডক্টর্স অব হিউম্যান লেটার্স’ প্রদান করে।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ এফএও কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৮ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোয় মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ‘এম কে গান্ধী ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। একই বছরের এপ্রিলে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ‘মাদার তেরেসা পদক’ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ‘ফেলিক্স হুফে বইনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। ঐ বছরেই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মানমূচক ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৯৭ সালে লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপ্রধান পদক’ প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে।
শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পাবেন কী না তা এখন আর বড় কথা নয়। যারা শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তাদের চেয়ে শেখ হাসিনা যে কত বেশি মহান তা দিনে দিনে প্রমাণিত হচ্ছে। আর তাঁর প্রধান শক্তি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা। এর চেয়ে বেশি একজন রাজনীতিকের জীবনে আর কি পাওয়ার থাকতে পারে।
_____________________________________
দৈনিক ভোরের কাগজ। ঢাকা। ৭ অক্টোবর ২০১৭ শনিবার।
'শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পাবেন কী না তা এখন আর বড় কথা নয়। যারা শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তাদের চেয়ে শেখ হাসিনা যে কত বেশি মহান তা দিনে দিনে প্রমাণিত হচ্ছে। আর তাঁর প্রধান শক্তি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা। এর চেয়ে বেশি একজন রাজনীতিকের জীবনে আর কি পাওয়ার থাকতে পারে।' সঠিক।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল শ্রদ্ধেয় জন
ভালো থাকুন সবসময়….. শুভেচ্ছা সতত।