জীবনের জলসিথান
কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাটিয়েছি ভরদুপুর। কেউ দেখতে আসেনি-কেউ
বুলিয়ে দেয়নি মাথায় হাত। যে রোদ আমার পশমে লেপ্টে থেকে যোগাতো
আমিষ, সে-ও পালন করেছে বিরহ পার্বণ। আর আমি সর্বহারা সমুদ্রের
কাছে হাত পেতে চেয়েছি একটু আশ্রয়। ছায়ার কিনারে, জীবনের জলসিথান।
মাথার নীচ থেকে আশ্রয় সরে গেলে, কিংবা পায়ের তলা থেকে মাটি-
মানুষের খুব বেশি মনে পড়ে অতীতের ভুলচুক। বিগত বসন্তের স্মৃতি,
আর সমবায়ী আকাশের কান্না এসে ভর করে সমগ্র আখ্যানের ভেতর,
যা কিছু লিখিত ছিল না-এমন কথাও কলমের কালিতে ঝরার উৎসাহ দেখায়।
আমি ঝরাসন্ধ্যার কিনারে বসে আমার সিথানের ছায়াগুলো পুনরায়
প্রত্যক্ষ করেছি। যারা ফেলে গিয়েছিল, তাদের প্রতি কোনো অনুযোগ
না দেখিয়েই আমি লিখেছি আমার সবক’টি প্রেমপদ্য। কোনো আবৃত্তিকার
কোনোদিনই এর নেপথ্যচিত্র জানতে চাইবে না জেনেও, জীবনকে বলেছি
তুমিই বন্ধু হয়ে থাকো। এই সয়াল সংসারে একাকী দহনের চেয়ে
বিকল্প কোনো বিলাসিতা কোনো কালেই ছিল না- হে পোষা পাখি !
অসাধারণ এই কবিতার পাঠক হিসেবে মুগ্ধতা প্রকাশ করছি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।