লেনিন
জুয়াখেলা শেষে বাইরে বেরিয়েই দেখি, দাঁড়িয়ে আছেন
মহামতি লেনিন। ঠিক আমাদের সামনেই পনেরো ফুট
উচ্চতা নিয়ে আলোকিত করছেন রেডস্কোয়ার ক্যাসিনো
আটলান্টিক সিটি জুড়ে বুলিয়ে যাচ্ছেন নতুন পুঁজির পরশ।
মনে হলো, সারারাত জুয়া খেলে খুবই ক্লান্ত তিনি। তার
ডান পাশে জ্বলছে গ্লাসনস্ত নামের একটা জলেভেজা সিগ্রেট,
আর বাম পাশে পড়ে আছে পেরেস্ত্রেইকা নামের একটি
ভাঙা মদের বোতল লাল ইটের টুকরো ছুঁয়ে।
আমি হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলাম। কিন্তু হায় !
হারিয়ে যাওয়া সূর্যের মতো পাথরের মূর্তি
আমার ডাকে সাড়া দিলো না মোটেও। মনে হলো
সকল তন্ত্রমন্ত্র ভুলে গিয়ে কোনো মমি আবারো
স্পর্শ করতে চাইছে বিশ্বদারিদ্রের রক্ত এবং পুঁজ।
লেনিন। করুণ এক পরিণতি। মানবিকতার বিপর্যয় হয়েছে কিনা জানিনা।
ভালো কবিতা প্রিয় ইলিয়াস ভাই। মনে পড়ে গেলো নব্বই দশকের কথা।
মনে হলো, সারারাত জুয়া খেলে খুবই ক্লান্ত তিনি। তার
ডান পাশে জ্বলছে গ্লাসনস্ত নামের একটা জলেভেজা সিগ্রেট,
আর বাম পাশে পড়ে আছে পেরেস্ত্রেইকা নামের একটি
ভাঙা মদের বোতল লাল ইটের টুকরো ছুঁয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর কবিতা ফকির ইলিয়াস ভাই।
সুন্দর কবিতা।