বিষণ্ন মধ্যমা
আমাদের ভোর জাগে ভাষার বিকিরণে। এখানে ঢেউয়ের সামন্ত সাজায় মানুষের
সর্বশেষ পুঁজি। কানাকড়ি হাতে অকাল বৃদ্ধাও দেখেন- তার সন্তান ফিরেনি যুদ্ধ
থেকে। তার কন্যা শাদা শাড়ী পরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বৈধব্যকে। আর কিছু
শেয়াল হুক্কা হুয়া আওয়াজে জানাচ্ছে যাদের পরিচয়, তারাই এখন স্বঘোষিত
ত্রাণকর্তা। আমরা বিভক্তির সমীকরণ ভুলে সাজাতে চেয়েছিলাম যে বাংলাদেশ
সেই রাষ্ট্রও এখন দখলদারদের লীলারাজ্য। বালি-মাটি, ঘাস-পাত,জল-পাথর
সবকিছু খেয়ে ওরা এখন দখল করতে চাইছে মানুষের পাঁজর। তীব্র বেদনায়
‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’— বলে যে কবি অভিমান করে চলে গেছেন,
তাঁর মতো অনেক কবিই এখন ভুলে আছেন স্বপ্ন দেখার অনন্ত গরিমা।
কবিতার খাতায় এখন রক্তের কালোদাগ। শকুনেরা সেরে নিচ্ছে আগ্রাসনের
সর্বশেষ মহড়া। তবু যারা বেঁচে থাকতে চাইছে- তারা বলছে সরে যাও
অমাবস্যা, সরে যাও রক্ততিথির বিষণ্ন মধ্যমা ।
—————————-
কবিকৃতি
রোদের অনুজ হয়ে শূন্য সমুদ্রের বেঁচে থাকা। আঁকা জীবনের কথা জানান দিয়ে যায় দৃশ্যান্তরে। ঘরে ফিরে এসেছে যারা, প্রয়োজনে তারা আবারো যাবে। নেবে, গায়ে তুলে আলোর পোশাক। হাঁক দিয়ে বলবে – ও ভাই শব্দ প্রহরী, একটু ধার দাও তোমার হাতের টুকরো রঙধনু মেঘ।
আবেগ যখন নিয়ন্ত্রণ করে বেদনার বীজমন্ত্র, পুষ্প প্রযত্নে তখন স্থির হয় একক প্রেমের প্রতিমা। উপমা বিলাসে মানুষ হয় শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। বরণ উৎসবে মিশে প্রজন্ম পার্বণের মেলায়। গায়, নাচে, প্রাণ। ভাসান সমুদ্রও জানে কবিতার অন্য নাম, কবিকৃতি শামসুর রাহমান।
ভাসান সমুদ্রও জানে কবিতার অন্য নাম, কবিকৃতি শামসুর রাহমান।
দুটি কবিতাই অসাধারণ হয়েছে কবি ফকির ইলিয়াস।
চমৎকার দুটি কবিতা প্রিয় কবি।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।
সুন্দর দুটি কবিতা পড়লাম।
দুটো কবিতাই মনোমুগ্ধকর। শুভেচ্ছা-সহ শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।