আত্মমগ্ন ভোরের ঈশানে
ওরা ভেবেছিল,খুন দিয়ে আদর্শ ঢেকে দেয়া যায়। ওরা ভেবেছিল,
মৃত্যুই মুছে দেয় চেতনার বজ্র-ইতিহাস!
.
গুলির পর গুলি করে যারা বিদ্ধ করেছিল বত্রিশ নম্বরের ফটক-
না, ভুল বললাম!
যারা বিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশের পাঁজর, ওরা জানতো না
একদিন তাদেরও কাটগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলার মানুষ গোটা বিশ্বে
তালাশ করবে তাদের পলায়নপর প্রেতাত্মা।
.
‘মুজিব হত্যার বিচার চাই’- বলে পনেরোই আগস্টের বিকেলটি
ভারী করেছিল যে পাখি; কান্না-কাতরতায়
আমি তার উড়াল দৃশ্য দেখেছি।
যে নবপরিণীতা জল আনতে নদীর ঘাটে গিয়ে,
কলসী ছুঁড়ে মেরেছিল ভর যমুনায়-
আমি দেখেছি তার প্রতিবাদ।
.
একাত্তরে জমা না দেয়া জং ধরা স্ট্যানগানটা পুনরায়
গর্ত থেকে তুলে গর্জে উঠেছিলেন যে প্রৌঢ় মুক্তিযোদ্ধা,
আমি তাকিয়েছি তাঁর চোখের দিকে। সুনসান নীরবতা ছিল
সেদিন। গোটা বাংলাদেশ ছিল শোকার্ত।
.
আত্মমগ্ন সেই ভোরের ঈশানে-
আমি সেদিন বারবার শোকের পংক্তিমালা লিখতে চেয়েও
লিখতে পারি’নি। আমার নির্বাক দৃষ্টির ভার বহন করেছিল
যে আদিম বর্ষার ঢেউ,
তার মাঝেই আমি বিলীন করে দিয়েছিলাম
আমার সকল দীর্ঘশ্বাস। কারণ আমি জানতাম, পিতা একদিন
ফিরবেনই প্রজন্মের প্রশ্বাসে প্রশ্বাসে।
.
প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ ‘ধানমণ্ডির ধ্বনিপুত্র’- থেকে কবিতা -১
এখন বুঝুক ঠেলা।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভ হোক পথচলা।
অভিনন্দন কবি ফকির ইলিয়াস।
শুভেচ্ছা কবি ইলিয়াস ভাই।