আদিকবি হিসেবে সূর্যস্বীকৃতি

অনেক মা বাবাই জানেন না তার সন্তান কবিতা লিখে। অনেক পুত্র-কন্যাও
বলে- মাঝে মাঝে তাদের পিতা কাগজ ও কলম নিয়ে বসেন। কী লিখেন
সেটা জানে না তারা। এমন কি অনেক মাতৃকাব্যকথাও পড়ে’নি তার সন্তান
– এমন বর্ণনা শুনতে শুনতে আমি যখন নদীর কাছে পৌঁছলাম,
দেখলাম কয়েকটি ঢেউ ছিন্ন-বিছিন্ন করেছে নদীর দক্ষিণ পাড়।

উত্তর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে যে রাখাল বালক, সে শুধু বলছে-‘ভেঙে পড়তে
পারে, অতএব সাবধান হে তীরবাসী!’
কেউ তার কথা শুনছে কী না, তা খেয়াল না করেই আমি পুরনো বটবৃক্ষের
ছায়ায় এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম- যে পাখিটি ঐ বৃক্ষের কাছ থেকে ছায়াঋণ
নিতো- সে’ও ঘুমিয়ে পড়েছে অতীত স্মৃতিদৃশ্য ভুলে।

কবি’কে খুব বেশি পরিচিত হতে হবে, কিংবা নদীকেও হতে হবে ঝানু
কৌশলী- সেই অবিশ্বাস পাকাপোক্ত করে আমি বাড়ী ফিরতে চাইলাম।
দেখলাম প্রবীণ সূর্যবাবু আমাকে প্রণাম জানিয়ে বলছেন- এই পৃথিবীতে
আদিকবি হিসেবে তাকেও কোনোদিনই কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।

1 thought on “আদিকবি হিসেবে সূর্যস্বীকৃতি

  1. সেই অবিশ্বাস পাকাপোক্ত করে আমি বাড়ী ফিরতে চাইলাম।
    দেখলাম প্রবীণ সূর্যবাবু আমাকে প্রণাম জানিয়ে বলছেন- এই পৃথিবীতে
    আদিকবি হিসেবে তাকেও কোনোদিনই কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।