আমি জানি শাস্ত্রীয় বৃষ্টিসমগ্র, কোনোদিনই ভেজাতে পারবে না আমাদের
পরিদেশ। কোনো ফুলের স্পর্শই এই মেঘমোগল-কে করতে পারবে না,
নতজানু। শুধুমাত্র যে বাষ্প আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে, তারাই
পারবে দিয়ে যেতে কিছু উষ্ণতা। কিছু জমে থাকা পাথর, পারবে সরে যেতে।
ছাড় দেবার জন্য কিংবা সরে যাবার জন্য- যেদিন প্রথম নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম,
সেদিনের কথা আজ মনে পড়ছে খুব বেশি। সেসময় আমার প্রতিবেশে কোনো
ফেসবুকার নদী ছিল না। ছিল না ডিজিটাল সূর্যের ছড়াছড়ি। এনালগ চাঁদের
সহযাত্রী হয়ে আমি যেদিন প্রথম চেয়েছিলাম সুরমার মুখের পানে, সেদিনও
আমার হাতে ছিল না কোনো নেটবুক। অথচ কয়েকটি সাদা-কালো ছবি ছিল,
আর ছিল দুচোখে শ্রাবণের লালিমা। নৌকোর উজানে ছিল একগুচ্ছ বৈঠার টান।
যৌবনের উজানপর্ব শেষ হলে বসন্তকেও বিদায় নিতে হয়। আমরা যারা পূর্ণ
জোয়ারের সাথে পাল্লা দিয়েছিলাম, তাদেরও ঘরে ফেরার ডাক পড়ে, চিত্রপুরে।
যৌবনের উজানপর্ব শেষ হলে বসন্তকেও বিদায় নিতে হয়। আমরা যারা পূর্ণ
জোয়ারের সাথে পাল্লা দিয়েছিলাম, তাদেরও ঘরে ফেরার ডাক পড়ে, চিত্রপুরে।
এক কথায় ভাষায় প্রকাশ করতে পারলাম না। একদম অসাধারণ।