একটা নগন্য পাথরকে ও দামী
কিম্বা স্বর্ণের চেয়ে মহার্শ রত্ন ভেবে,
অনামিকায় ঠাঁই দেয়া যায়..
যদি সেটা তোমার আঙ্গুল হয় —
একটা গন্ধময় ঘেঁটো ফুলকে
সুন্দর একটা মালায় সাজানো যায়,
সুরভিত জেনে কুন্তলে গুজে রাখা যায় —
যদি সেটা তোমার চুলের খোঁপা হয় ….!
কাজল কালো নয়ন
রেশমী চুড়ি,
কিম্বা আলতা, নীল শাড়ির আচ্ছাদন..
জড়িয়ে দেয়া যায় একান্ত আপন হাতে —
যদি সেটা তোমার অঙ্গ হয় ———
মৃত্যুর বার্তাবাহী এক পেয়ালা বিষকে
হাসি মুখে গলায় ঢেলে নেয়া যায়,
যদি তুমি সেটা তুলে দাও আপন হাতে ..!
বিষের অবগাহনে আমি হব বড়ই তৃপ্ত ।
একটা ক্ষত-বিক্ষত মনকেও পৃথিবীর
আর সব অক্ষত মনের চেয়ে,
বেশি আপন ভেবে সমস্ত সত্ত্বায় গেঁথে নেয়া যায়
যদি সেটা তোমার মন হয় ।
কেননা আমার সমস্ত অনুভবে
চলমান পৃথিবীর মত তুমিই রয়েছ দণ্ডায়মান।
বিদগ্ধ বক্ষে..
তোমার চৈতন্যের প্রহর খুঁজেছি এতো কাল ধরে,
সীমাহীন অচেতনতায়:
খুঁজেছি ….. পথ ,ঘাট,মাঠ
আকাশ, সাগর, পাহাড়ে
কোথাও পাওয়া যায়নি তোমাকে —–
বুঝেছি সকলই ব্যর্থ আমার;
“তোমাকে পাব না এক জীবনে।”
দুর্দান্ত লেখা।
বেশ চমৎকার এক ভাবনাপূর্ণ কবি আপু
তোমার চৈতন্যের প্রহর খুঁজেছি এতো কাল ধরে,
সীমাহীন অচেতনতায়:
খুঁজেছি .. পথ, ঘাট, মাঠ আকাশ, সাগর, পাহাড়ে
কোথাও পাওয়া যায়নি তোমাকে।
___ কবি'র সাফল্য কামনা করছি। একরাশ শুভকামনা।