ভাবছি! কবে যে বড় হবো!
এই ভাবতে ভাবতে কবে যে বড় হয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি।
ঘুম ঘুম চোখে মক্তব যাওয়া কতটা বিরক্ত ছিল তখন!
তারপর স্কুলে, স্যারদের চোখ রাঙানো, মায়ের কঠিন শাসন থেকে মুক্ত হতে ভাবতাম-
ভাবতে ভাবতে কবে যে বড় হলাম ইটের পেলাম না।
হঠাৎ একদিন পড়ন্ত বিকেলে উড়ন্ত কালো কেশ আমায় ছুঁয়ে গেল,
সারারাত গোল্লা ছুট খেলেছে আমার চোখের আঙিনায়, ঘুমোতে দিইনি সেই বালিকা।
এই যেন এক অসম্ভব শূন্যতা, যেন এক অচেনা সুখ।
তবে কি বড় হয়ে গেলাম! ভাবতে ভাবতে বালিকার সাথে চুটিয়ে প্রেম।
প্রথম স্পর্শ, প্রথম আলিঙ্গন, প্রথম চুম্বন যেন বদলে দিল সবকিছু।
হঠাৎ সম্পর্কে টানাপড়েন বালিকার সাথে বিচ্ছেদ।
অসহনীয় যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে কবে যেন বড় হয়ে গেলাম।
এখন বালিকা দু’সন্তানের জননী, আমিও পিতা।
বড় হয়ে গেলাম।
এখন ভাবছি কেন বড় হলাম!
সেই মায়ের শাসন, বাবার কর্কশ কণ্ঠ, স্যারের বেত্রাঘাত
তখনই ভালো ছিল।
হায়!
জীবনের বিবর্তনে আজ কত অসহায়।
Excellent writen
জীবনের বিবর্তনে আজ কত অসহায়। ___ কথাটি চিরন্তন সত্য। শুভেচ্ছা।
দারুণ লিখেছেন, কবি। শুভকামনা থাকলো।
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ কবি দা