ইকরামুল শামীম এর সকল পোস্ট

ইকরামুল শামীম সম্পর্কে

ইকরামুল হক ( শামীম ) পেশা : সমাজকর্মী, লেখক ও আইনজীবী । জন্মস্থানঃ ফেনী বর্তমানঃ ঢাকা, বাংলাদেশ স্ট্যাডি ব্যাকগ্রাউন্ডঃ ১.মাস্টার্স ইন ভিক্টিমলজি & রেস্টোরেটিভ জাস্টিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২. মাস্টার্স ইন পলিটিক্যাল সাইন্স। ৩. ব্যাচেলর ডিগ্রী অব সোশ্যাল সাইন্স। ৪. ব্যাচেলর অব 'ল'। কর্মঃ ১. ফাউন্ডার, বাংলাদেশ রেস্টোরেটিভ জাস্টিস সোসাইটি. ২. জুনিয়র ল'ইয়ার, জেলা জজ কোর্ট। ৩. এক্স এ্যাস্ট. কো-অর্ডিনেটর, বিশ্ব সন্ত্রাস ও জঙ্গী বিরোধী সংস্থা, বাংলাদেশ। ৪. এক্স- ট্রেইনার(HIV & DOWRY), টালফ অর্গানাইজশন, বিডি। বর্তমানে তিনি " ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা এবং অপরাধীদের সংশোধন" নিয়ে কাজ করছেন। রাজনীতিঃ দেশপ্রেম। প্রিয় লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নির্মলেন্দু গুন। সখঃ ভ্রমণ করা, কবিতা পড়া এবং দাবা খেলা।

খোলা চিঠি

রক্ত

প্রিয়তমা,

কলম হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি। কী লিখব, কোথা থেকে শুরু করব, বুঝে উঠতে পারছি না। বুকের মধ্যে একরাশ কষ্ট আর অপরাধবোধ জমাট বেঁধে আছে। তবুও আজ তোমার কাছে মনের সবকিছু খুলে বলতে চাই।

তুমি কেমন আছো? এই প্রশ্ন করাটা হয়তো বোকামি, কারণ আমি জানি, তোমার সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না সবই আজ আমার ব্যর্থতার সাথে জড়িয়ে আছে। তোমার মুখের সেই নির্মল হাসিটা বহুদিন দেখিনি। তোমার চোখের গভীরে যে স্বপ্নগুলো ছিল, সেগুলো যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে, আর আমি শুধু নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দেখছি।

জানো, আমি কতটা চেষ্টা করি? প্রতিদিন নতুন করে শুরু করতে চাই, প্রতিদিন প্রতিজ্ঞা করি যে, তোমার জীবনটাকে সুখের আলোকিত পথে নিয়ে যাবো। কিন্তু বাস্তবতা আমাকে প্রতিবার থামিয়ে দেয়। একের পর এক ব্যর্থতা আমাকে গ্রাস করে, আর আমি ধীরে ধীরে এক অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি। তবু তুমি আছো, আমার পাশে, নিরব সাক্ষী হয়ে।

আমি জানি, আমার অভাব-অনটন তোমাকে কষ্ট দেয়। হয়তো অন্যদের মতো তোমার জীবনটা সুন্দর হতে পারত, নিশ্চিন্তে কাটাতে পারতে তোমার দিনগুলো। কিন্তু আমি কিছুই দিতে পারিনি তোমাকে, কিছুই না! শুধু এই অপরাধবোধে আমি প্রতিদিন নিজেকে শাস্তি দিচ্ছি।

তবুও আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি, এক নিঃশ্বাসে, এক অন্তরের গভীরতম কোণ থেকে। তুমি আমার জীবনের সেই আলো, যে আমাকে বারবার ভেঙে পড়ার পরও বাঁচতে শেখায়। তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি এখনো স্বপ্ন দেখি, এখনো বিশ্বাস করতে চাই, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

যদি কখনো মনে হয় আমি তোমার বোঝা, যদি কখনো মনে হয় আমার ব্যর্থতা তোমাকে দাবিয়ে ফেলছে—তবে একটিবার আমার হৃদয়ের ভেতরটা অনুভব করো। দেখবে, সেখানে শুধু একটাই নাম লেখা—তোমার নাম!

তুমি আমার শ্বাস, আমার অস্তিত্ব, আমার শেষ আশ্রয়। যদি আমি শতবারও ভেঙে পড়ি, তবুও আমি তোমার হাতটা ছাড়বো না। কারণ, আমি তোমাকে সত্যি সত্যি, নিখুঁতভাবে, অসম্ভব রকম ভালোবাসি।

চিরদিনের জন্য,
অকৃতজ্ঞ এক মানুষ

অবচেতন ইশারা

নিঃস্ব

থুথু ফেলে দিয়ে আবার
মাটি থেকে চেটে খাওয়ার অভ্যাস নেই আমার,
তবুও মাঝে মাঝে সন্দেহের বোরাক
চেপে ধরে মাটিতে।

তখন অসহ্য যন্ত্রণায় তিতো লাগে সকল অস্তিত্ব,
একটু বেঁচে থাকার জন্য
হাঁসফাঁস করতে করতে উঠে বসি।

বর্তমান তরঙ্গের সাথে
বাঁচা-মরার প্রতিশ্রুতিতে আক্ষেপ থেকে যায়,
সেও বুঝি চোখ বন্ধ করে!
হৃদয়-চোখে হাজার প্রশ্নের ঝড় তুলে,
লণ্ডভণ্ড করে আমায়!

কি জানি! কি পাপ করেছি এ প্রকৃতির সাথে,
যে শুধু দাবিয়ে রাখার খেলায়
আমি একটি বস্তু মাত্র—
অবচেতন ইশারায়
আমাকে বারবার ঠুকি দিয়ে চলে যায়।

মনগড়া কলেমায় আমি থেকে যাই
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের খলনায়ক চরিত্রে।
কে জানে!
নিয়তির এ দুর্গমগিরির অন্ধকার পথে,
পাশে থেকেও,
আর কতটা পথ একা একা হাঁটা লাগে?

স্বাধীনতা তুমি কি?

ইকরামুল শামীম
স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে এই অদম্য প্রেরণা বিলীন?
নাকি উত্তপ্ত, রক্তাক্ত পথ ধরে
হবে এক নতুন ইতিহাস রঙিন?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে নতজানু লজ্জাবতীর কাঁটা?
নাকি বদ্ধ ঘরে নির্যাতিত কিশোরীর আর্তনাদে
ফুরাবে নীলিমার নীল আলো ছাটা?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো থাকবে কৃষকের হাসিতে?
নাকি উজান বয়ে যাওয়া স্রোতের মতো
মিশে যাবে কালো অন্ধকারের কণ্ঠরোধিত রীতিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো সইবে বেকারের হাহাকার?
নাকি এলিট শ্রেণির মুখোশী ভাষায়
হবে স্বপ্ন ভঙ্গের নিষ্ঠুর উপহার?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো বইবে নিরপরাধের আর্তনাদ?
নাকি জনদরদী তারার মতো
ঝলমলিয়ে হারাবে অবিচারের বিষাদ?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
পেয়েছো কি ত্রিশ লক্ষ প্রাণের প্রতিদান?
নাকি কালো মেঘের আড়ালে ঢাকা
একটি ধূমকেতুর মতো দিশাহীন উড়ান?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো আসবে মিলনের স্বপ্ন নিয়ে?
নাকি বইয়ের পাতায় আঁকা ইতিহাস হয়ে
হারাবে জীবনের বাস্তব সৃষ্টিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো ফুটবে সুবাসিত রজনীগন্ধা ফুল?
নাকি বিষাক্ত সমাজের রুগ্ন হাতে
হয়ে যাবে বিষে ভেজা এক কুটিল ভুল?

নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ

WhatsApp-Image-2023-07-16-at-23.22.35

নেতারা কি সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করার কাজ করেন? না, মোটেও না। তারা সাধারণ জনগনের মাথায় টুপি পরিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করেন। বর্তমানের এক একজন নেতাদের কাছে এক একটা করে তেলের খনি আছে, আর সে খনিতে অনভিজ্ঞ কর্মীরা টাকার বিনিময়ে তেল মালিশের কাজ করে।

যে দেশে দেশপ্রেম না থাকা স্বত্ত্বেও টাকার বিনিময় রাজনৈতিক অভিভাবক বা নেতা হওয়া যায় সে দেশে আবার রাজনৈতিক কোন দলকে ভালো বলবো? ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে যেমন ভগবত সিংহ কিংবা মহাত্মা গান্ধী বা জিন্নাহর যে দেশপ্রেম ছিল এবং পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে বাঙালির মুক্তির জন্য সালাম, রফিক, বরকত, শফিক, বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, সরোওয়ার্দী বা ফজলুল হকের মত যারা দেশপ্রেমিক ছিল তাদের মত এখন কি আর দেশপ্রেমিক আছে? কোথায় নুর উদ্দীন? কোথায় হিমাদ্রি সহ শত শত খুন হওয়া দেশপ্রেমিক ব্লগাররা?

আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলে হঠাৎ বড়লোক হওয়া হাজার হাজার ব্যাক্তি টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের পদ নিয়ে কোটি টাকার সুবিধা নিচ্ছে। আর এইসব আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়া সমাজ সেবকদের কাছে সত্যিকার অর্থে আওয়ামীলীগ বা দেশপ্রেমিকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। যে লোকটির পরিবার দেশ স্বাধীন হোক চায় নাই, এমনকি আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেছিল, সে ব্যক্তিটিও আজ টাকার বিনিময়ে বলে বেড়ায় সে একজন খাঁটি আওয়ামী লীগার।

আগের রাজনীতি ছিলো সেবা, এখন রাজনীতি হচ্ছে শোও-অফ সেবার নামে ব্যবসা। আগের রাজনীতি ছিলো মানুষের অধিকার রক্ষা করার জন্য, এখন রাজনীতি হচ্ছে অধিকার হরণ করে ক্ষমতাবান হওয়া। আগের রাজনীতি ছিলো ধর্ম নিরপেক্ষতার রাজনীতি, এখন রাজনীতি হচ্ছে ধর্ম সহিংসতার রাজনীতি।

যে দেশে শুয়োরের মাংস খাওয়া হারাম বলে খায় না অথচ এর চেয়ে জঘন্য পাপ কাজ তথা পর-নারী বা পর-পুরুষের সাথে শয্যাশায়ী হওয়াকে আধুনিকতা বলে, আর সুদ খাওয়াকে মর্ডান বিজনেস বলে, সে দেশের মানুষদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলে লাভ কি?

নেতারা কথা দিয়ে কথা রাখে না ঠিকই তবে অর্থকড়ি আত্মসাৎ করে নেয়, কিন্তু বেশ্যার টাকার বিনিময়ে ঠিকই সাময়িক শারীরিক ক্ষুধা মিটিয়ে দেয়। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ।

অভিশপ্ত স্মৃতি

Screenshot (4)

ভুলে গিয়েছো?
হয়তো ভুলে গিয়েছো খুব করে।
ভুলবে না কেন!
স্মৃতির পৃষ্ঠা থেকে আমি ছিঁড়ে গিয়েছি বহুদিন হলো।
তোমার হৃদয়ের গলিতে ভালবাসার মিছিলে
আমি এক অচেনা স্লোগানী ছিলাম যা বুঝতে অনেক ফাল্গুন চলে গেল,
তাই হয়তো ঝাপসাতেও মনে নেই আমার অস্তিত্ব।

এখন হয়তো বেশ সুখে আছো!
আমিও চাই তুমি ভালো থেকো অনন্তকাল।
যে ভালো থাকার জন্য আমার হাত ছেড়ে ছিলে
যে সুখে থাকার জন্য আমায় কলঙ্ক দিয়েছিলে,
হয়তো অন্য কোনো ঘামের গন্ধে সে সুখে আছো
তাই আমি এখন তোমার নিঃশ্বাসে নেই।

ঘোলাটে স্মৃতির বেহাল্লাপনায় আমি বেশ আছি
আমাকে ঘিরে যে তার সমস্ত ইচ্ছে, স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছে
তাকে নিয়ে রঙ্গনের সুগন্ধ সুখের গভীরতায় মজেছি।

ভালো থেকো নীলকন্ঠ!
কোনো এক রাত দুপুরে দু’ফোঁটা অশ্রু ফেল
ঐ অভিশপ্ত স্মৃতির মলাটে।

স্ট্রাগল

CYMERA_20221114_215654

স্বপ্ন বুনি প্রতিদিন, প্রতিটা মুহুর্তে
ব্যর্থের কুঠারাঘাতে স্বপ্ন টুকরো টুকরো,
হিংসার উনুনে জ্বলে
মানুষের প্রতি মানুষের ভরসার দাঁড়িপাল্লা।

মনের শেলফে থরথর করে সাজিয়ে রাখা
ইচ্ছেগুলিও দিনদিন আত্মহত্যার পথ খুঁজে,
কিম্বা খুন হচ্ছে কটু কথায়,
অথবা ব্যঙ্গ্যার্থ হাসির জোয়ারে ভেসে যায়।

হীনমন্যতার অন্তরালে আঁটকে
আজ দিক বেদিক কতজনের নোনতা অবজ্ঞায়!
যা হিসেব কষলে শুধু ভাগফল অট্টহাসি
তবুও মানুষ মানুষের জন্য গল্প লিখি।

স্বার্থপরতার এই যুগে
মিষ্টি ভাষার মানুষগুলো পর্বতশৃঙ্গে,
আর তুমি শুধু তোমার একাকী গন্তব্য পথে
যে পথ বড্ড মলিন; ফ্যাকাসে।

আমার দেশ, সাম্যের দেশ

CYM

বাংলাদেশ, সাম্যের দেশ
এখানে বেজে উঠে একসাথে
যীশুর ঘন্টা, ঠাকুরের উলু, মুয়াজ্জিনের আজান,

রামের ঘরে রহিমের আসা যাওয়া
যোসেফের সাথে ভিক্ষুর বন্ধন
এইভাবে বেঁচে আছে বাংলার প্রাণ,

আমি বেদব্যাসের ভগবত গীতা
ঈসার বাইবেল, বৌদ্ধার ত্রিপিটক
মুহাম্মদ(সঃ)’র পবিত্র আল কোরআন।

আমি দূর্গা পূজা, বড়দিন
ঈদের খুশি ভাগ করি
শর্মা, সৈয়দ, ক্যাথেলিন

নাস্তিকের চেয়ে আস্তিক বেশি
অমান্যকারী সংখ্যায় ঠাসাঠাসি
তবুও সম্পর্ক গাড়ো নয়তো মলিন।

আল্লাহ, যীশু, ঈশ্বর, ভগবান
একসাথে, একসুরে থাকুক বাংলার গান।

১০ঃ০০
৩রা সেপ্টেম্বর-২০২২ইং

আমরা মুখোশধারী

1632911392166

যে ছেলেটি মদ্যপ এবং নেশা করে তাকে সমাজ বখে গিয়েছে বলে। পরিবার কুদৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু কেন?

আপনি তো ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। আপনি জানেন কি? মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা, লোভ, অহংকার এবং মানুষ ঠকানো মদপানের চেয়ে জঘণ্য ও মহাপাপ। অথচ আপনি আমি উক্ত শব্দদ্বয়গুলির সাথে বসবাস করছি। মিথ্যা বলি, গীবত করি, গুজব রটাই ইত্যাদি প্রতিনিয়ত যারা করছে তাদের কেন মুসলমান সমাজে জায়গা হবে? যদি সেই মদ্যপ ছেলেটি খারাপ বলে পরিচিত হয় তাহলে তারা কেন ভদ্রতার আসনে বসে থাকবে?

আপনি নিজেকে মুসলমান দাবী করছেন। আপনি রোহিঙ্গা ও কাশ্মীরে হামলার প্রতিবাদ করেন কিন্তু বেলুচিস্তান ও ইয়ামেনের হামলার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করেন না। কেন? আপনি ফেলানীর জন্য প্রতিবাদ করেন কিন্তু সৌদি থেকে হাজার হাজার নারী নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরছে তার প্রতিবাদ করেন না। কেন?

আপনি মুসলমান অথচ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছেন পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টোর জন্য। যে আশ্রয় দিয়েছিল সেই কর্নেল তাহেরের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছেন জিয়াউর রহমানের জন্য। কেন ভাই? শেখ মুজিব আর কর্নেল তাহের কি মুসলমান ছিলেন না?

কারণ আপনাদের মধ্যে আল্লাহর আনুগত্যতা নেই আছে ধর্মান্ধতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আপনারা নিজ ধর্মের বিধিনিষেধ পালন করবেন না কিন্তু গুজব রটানোর জন্য ধর্মকে হাতিয়ার করে মায়া কান্না আর ভন্ডামি করতে ওস্তাদ। আপনারা শুধু সামাজিক যোগাযোগে নিজেকে মুসলামান দাবী করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবেন কিন্তু গাম্বিয়ার মত আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা করার সাহস করবেন না। কারণ আপনাদের ঈমানী দুর্বলতা অধিক থেকে অধিকতর এবং আপনারা সুবিধাবাদী।

আপনারা সত্যিই সুবিধাবাদী। ৯০দশকেও এইদেশে টিভি দেখা হারাম ছিল। ছবি তোলা নাজায়েজ ছিল। এখন আপনাদের সুবিধার্থে ধর্মকে পরিবর্তন করে জায়েজ করে নিলেন। ইসলাম ধর্মে সকল ধরণের খেলা হারাম শুধু ঢাল-তলোয়ার খেলা ছাড়া অথচ আমরা বর্তমানের সকল ধরণের খেলাকে জায়েজ করে নিজেদের মগ্ন রাখি, আর বলি আমি মুসলমান।

আপনার ছেলে-মেয়ে পড়াশুনার নামে বাহিরে গিয়ে সবার অগোচরে প্রেম লীলায় মগ্ন অথবা আপনি অনলাইনে ফটকামী করে বেড়াচ্ছেন, যা ইসলামে পুরোপুরি নিষিদ্ধ আর সেই আপনারাই গলাবাজি করেন রোহিঙ্গা মারছে, কাশ্মীর মারছে, তসলিমাকে হঠাও। তসলিমা নাসরিনের সাথে আপনার পার্থক্য কোথায়? তসলিমা সরাসরি ধর্মকে অস্বীকার করছে আর আপনি ধর্মের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ধর্মকে পরোক্ষভাবে অস্বীকার করছেন।

আপনি নিজেকে মুসলমান দাবী করেন কিন্তু আল্লাহকেও অস্বীকার করেন। বিশ্বাস হচ্ছে না? ঠিক আছে, একজন সুন্দরী রমনীর সাথে আপনাকে এক সপ্তাহের জন্য একটা আবদ্ধ ঘরে থাকতে দিবো। তারপর আপনি নিজেই রাসলীলায় মেতে উঠবেন আর তখনই ভুলে যাবেন আপনার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কথা।

এমন কোনো পুরুষ আছেন যারা একবারের বেশি দু’বার কোনো বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেন নাই? নাই ভাই, এমন কেউ নাই। একবারের বেশি দু’বার তাকাতে আল্লাহ আপনাকে নিষেধ করেছেন অথচ কোনো সুন্দরীকে দেখলে ধর্মের হুকুমকে উপেক্ষা করে দৃষ্টি দিয়ে চোখের যেনা করছেন। কেন? আপনি তো মুসলামান!

পিতা-মাতার হক কতজনই পালন করেন? যে ছেলেটি রাজপথে কাশ্মীরীদের জন্য স্লোগান তুলছেন সেই ছেলেটি কি তার পিতা-মাতা হোক জীবিত কি মৃত তাদের হক পালন করেছে কিংবা করে? ধর্মের নামে যখনই কোনো ঘটনা ঘটে তখন মানববন্ধন, প্রতিবাদ, কুশপুত্তলিকা পোড়ানোসহ কত কি করেন অথচ যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে বৃদ্ধাশ্রমে পিতা-মাতাকে ছুঁড়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে কখনো রাজপথে নেমেছিলেন? নামেন নি। তাহলে আপনি কিভাবে মুসলমান দাবী করেন?

ইসলাম ধর্ম একমাত্র আল্লাহর ধর্ম যা মহানবী (সঃ)’র মাধ্যমে প্রেরিত। যদি তাই বিশ্বাস করেন তাহলে ধর্মকে যেমন ইচ্ছা তেমন না সাজিয়ে নিজেকে শুধরিয়ে ঈমানকে পাক্কা করুন। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার দেশের ৮৫% মানুষের ঈমান ঠিক নাই। অথচ নিজেকে ধার্মিক দাবী করে।

মাটিতে সিজদা দিলেই নামাজ কায়েম হয় না। মাটিতে সিজদা তো হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানরাও দেয়। যারা জুমার দিন নামাজে যান তারা কি আল্লাহকে ভয় করে জুমার নামাজ আদায় করেন? নারে ভাই। পারিবারিক অভ্যস্ততার কারণে শুক্রবারে মসজিদে যায়। যদি আল্লাহকে ভয় করতো তাহলে মিথ্যা, গীবত, পরশ্রীকাতরতা সহ ইসলাম বিরোধী সকল নিষেধ পরিহার করে ইসলামের হুকুম-আহকামের উপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করতো।

নামাজ কায়েম করতে হলে আগে নিজেকে বিশ্বাসী করে তুলুন, আল্লাহ ও তাঁর নবীর হুকুম আহকাম গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তারপর নিজেকে মুসলমান দাবী করে গলাবাজি করবেন। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না করে, ধর্মীয় শুদ্ধতা চর্চা করুন। তাহলে দেশ, জাতি ও আপনার মঙ্গল এবং আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন।

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু

FB_IMG_1659650469838

রাজায় রাজায় যুদ্ধে রাজার কোনো ক্ষতি হয় না। মরে শুধু উলু খাগড়ার দল।

সামনে নির্বাচন। কে জিতবে, কে হারবে, তা বড় ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হচ্ছে, আপনি বা আপনারা তথা কর্মীরা নির্বাচনকালীন সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে রাতদিন পরিশ্রম করে প্রার্থীকে জয়ী করেন। অতঃপর প্রার্থী বিজেতা হয়ে রাক্ষস বনে যায়। হোক সে নৌকার সমর্থনে জয়ী কিম্বা ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লা সমর্থনে বিজয়ী।

রাক্ষস বনবে না কেন? গরুচোর, সাইকেল চোর, চাঁদাবাজ, আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা যখন আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় তখন সামাজিক মর্যদা বাড়ানোর জন্য বড় বড় নেতাদের ডোনেশন দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়। আর এইসব মানুষদের কাছে আমরা সামন্য কিছু অর্থের বিনিময়ে গোলাম বনে যাই।

তথাকথিত নেতারা তাদের নিতম্বে ফেবু নামক তেল মর্দন উপভোগ করেন। আর সে মর্দনের তেলসমতিতে জনগনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে মিষ্টি কোঁয়া চুষুন করে হাসতে হাসতে স্বাদ উপভোগ করেন।

আমরা সাধারণ পাবিলক যারা আছি তারা সবাই নিজ স্বার্থের কথা চিন্তা করি। কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্র বা জাতির কথা একটুও ভাবি না। আমাদের চিন্তা এমনই, দেশ যাক রসাতলে আমাদের কি, আমি তো নেতার চামচামি করে আমারটা পাচ্ছি। আর এই স্বার্থন্বেষী লোভের কারণে হাজারো পরিবার না খেয়ে মরে।

সরকার জনগনের উপকারের জন্য যেসব কাজে বরাদ্দ দিয়ে থাকেন, নেতা নামক টেন্ডারবাজরা ঐসব বরাদ্দের ৭০% যদি সম্পূর্ণ করতো তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হতো।

সোনার বাংলায় অযোগ্যরা নেতা হয় আর যোগ্যরা ঐসব নেতার আমলা বনে বলে দেশের সাধারণ জনগণ কখনোই স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলতে পারিনি, পারবেও না। আর এই জন্য দায়ী আমরা সাধারণ জনগনই। কারণ আমরা সব্বাই হিপোক্রেট।

আবেদন

CY

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! বেতনটা বাড়িয়ে দিন।

আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী
কতই বেতন পাই!
পাঁচ ভাই বোনের সবার বড়, বাবা দিন মজুর
মাস শেষে বাড়িতে টাকা দিয়ে না খেয়ে কাটে দিন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেতনটা বাড়িয়ে দিন।

আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে স্বল্প মাইনের কর্মচারী
দুই সন্তানের স্কুল ফিস, হাজার দশেক ঘর ভাড়া, সাথে আছে বৃদ্ধ মায়ের ঔষধ খরচ, মাস শেষে অনেক টাকার ঋণ,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! বেতনটা বাড়িয়ে দিন।

আমি দিনমজুর, নিত্য আয়ে নিত্য খাই
জল পানে সারাদিন রিক্সা চালাই আমি রিক্সাওয়ালা
বৌয়ের জন্য কাঁচের চুড়ি কেনার সাধ্য আমার নাই।

আন্তর্জাতিক বাজারে সবকিছুরই দাম চড়া
আপনার আর কি করা!
আমাদের বিষ দিয়ে দেন, আমরা বিষপানে মরে যাই।

বেঁচে থাকুক নেতা, এমপি- মন্ত্রী, আমলারা
তাদের আছে অঢেল টাকা-পয়সা, বিদেশও বাড়ি গাড়ি,
তারাই শুধু মানুষ, আমরাতো আপা কুলের বলদ স্বাদ-আহ্লাদের খুনী
এই দায়ে আমরা দোষী, আমাদের ফাঁসির মঞ্চে নিন,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আর কত সহ্য করবো!
কত বছর কত দিন?

এইবার সময় এসেছে
এমপি-মন্ত্রী, আমলা, নেতা-খ্যাতাদের চলার মত কিছু রেখে বাকি সব তাদের কেড়ে নিন।

উড়ন্ত পত্র

Pics

প্রিয় মাধবীলতা!

খুব ভালো আছো দেখে আমি খুব কষ্ট মার্জিত তৃপ্তি নিয়ে পার করে দিচ্ছি বিষায়িত এক একটা সময়। তোমার প্রতি আমার অজস্র অন্যায় হয়েছে বলে এখন কিছু বলি না। বলার সে সাহস নেই। তবে এতোটুকু বুঝি খুব বেশি আবার ভালবেসেছিলাম তোমাকে। কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশে গলদ ছিল বলে আমি তোমার দৃষ্টিতে খুবই জঘন্য এবং নর্দমার কীট হিসেবে লালন হচ্ছি।

জানো আমি এমন একটি কষ্টের সাথে লড়ছি যা আমায় প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত করে। মস্তিষ্কের ভিতর সমস্ত অনুভূতিকে লন্ডভন্ড করে চলে। কষ্টটা কোথায় জানো?
খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি তোমার চোখে যারা বাচ্চা ছেলে, আর ঐসব ছেলেদের স্টোরি কিম্বা পোস্ট থাকে মুভির সেক্সুয়াল সিন। আবার এইসব বাচ্চা ছেলে গুলি যখন বলে বড় আপুদের সাথে কথা বলার সুবিধা আলাদা। তারা প্রেম করে সেনসুয়াল করে। কারণ তারা বিবাহিত।

আর এইসব ছেলেরা যখন আমার প্রিয়জনের ছবিতে লাভ রিয়েক্ট, লাভ কমেন্ট এবং ঐ ছেলেদের কমেন্টের প্রতিউত্তরেও যদি সেইম দেওয়া হয় তখন আমি একজন বড্ড উন্মাদ হয়ে যাই। যা থেকে পরিত্রাণে প্রতিদিন আমার চার পাঁচ প্যাকেট সিগেরেট লাগে সাথে তো বিয়ার কিম্বা মদ না হলে আমি নিজেকে দাবিয়ে রাখতে পারি না।

মাধবীলতা! আমি তোমাকে কিচ্ছু বলবো না। হস্তক্ষেপও করবো না কোনো কিছুতে। তবে ঐসব ছেলেদের আমার খুব ঘেন্না হয় বলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। তোমার প্রতি আমার কোনো ধরণের সন্দেহ নেই, সন্দেহ করার অবকাশও নেই। তবে কষ্ট ভরে আছে আমার প্রতিটি মুহূর্ত। তোমার অগোচরে আমি আমাকে টর্চার করে যাচ্ছি। করে যাবো। নিজেকে শেষ করে দিবো। তবুও তোমাকে আমি বলবো না, এইসব ছেলেদের লায় দিও না। তোমার যদি ভার্চুয়ালি ওদের সাথে মিশে মন ভালো থাকে, তবে তুমি ভালো থেকো।

আমি নিজেকে শেষ করে দিয়ে গুটিয়ে নিবো। বেশিদিন এই পৃথিবীর থাকার আর ইচ্ছে নেই। রাখাল আর বাঘের গল্পের মত আমিও একদিন বাঘের পেটে ঢুকে যাবো। কেউ টের পাবে না। ততদিন আমি আমার ভালবাসার সকল বিন্দু তোমাকে দেওয়ার চেষ্টা করবো। ভালো থেকো।

ইতি
এক উন্মাদ মাতাল

নটরাজ

CYME

একটি অসমাপ্ত গল্পের চিত্রনাট্যকার তুমি,
আমি সে গল্পের নামমাত্র একটি চরিত্র,
মন খারাপের ভিড়ে থেকেও হাসি,
হাসাই, আবার কখনো কাঁদাই, কখনো ভাবনা জ্বালাই,
অতঃপর নতুন চিলে কৌঠায় চড়ুই পাখির ফাঁদ তৈরিতে তুমিও
বেশরকম বিজ্ঞাপনে বাজিমাৎ লাগাও
আর আমি বাবু পাখী বেশে একটু আশ্রয় খুঁজি
সে বিজ্ঞাপনের ভিড়ে।

সে গল্পে আমি একজন ভুলে ভরা মানুষ
সে গল্পে আমি একজন বেকারত্বের অভিশাপ,
সে গল্পে আমি অচেনা স্বপ্নের স্বপ্নবাজ
সে গল্পে আমি একটি করুণ দীর্ঘ ইতিহাস।

উপসংহারে এখন নিষিদ্ধ আমি,
এক পেয়ালা হেমলক নিয়ে দাঁড়িয়ে
সে গল্পের সিকোয়েন্সে পুরুনো চরিত্রের অবসান দিতে
আমি এখন নটরাজ।

জীবন চক্র

CYME

দু’চারটে চুলের বয়স হয়েছে
মাথাও মাঝে মাঝে ঝিমঝিম করে
পা দুটো ব্যাথার সাথে সখ্যতায় মজেছে
গোঁফ-দাঁড়িও সাদা রঙে হলি খেলছে
বয়সটা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের চিলেকৌঠায়,

বউ-বাচ্চা আর সংসারের টানাটানিতে
রাতদিন পরিশ্রম করে
দু’চার পয়সার পিছনে ছুটতে ছুটতে
কবে যে আসলাম সময়কে পিছনে ফেলে
টেরই পেলাম না, এখন শুধু ভাবায়, কাঁদায়,

বয়স হয়েছে ভাবলে, আঁতকে উঠি
এ বুঝি থেমে যাবে জীবনের গাড়ি!
কত স্বাদ ছিল অসময়ের হবো সাথী!
কত আহ্লাদ! কত প্রেম! জীবনের প্রতি
এখন শুধু কল্পণায় বাসা বাঁধি কৈশরের দস্যিপনায়।

২০ :৪০
১২/১২/২০২১ইং

আক্ষেপ

00908

একদিন দেখতে পাবে
ঘোর অন্ধকারে তুমি হাঁটছো
তোমার ছায়া তোমাকে এড়িয়ে
অদ্ভুত একাকীত্বে তুমি
সেদিন আমি
জোনাকি হয়ে তোমায় ছোঁয়ে যাবো।

একদিন শুনতে পাবে
বেলা শেষে তুমি তোমার আর্তনাদ
চোখের জল তোমাকে পাশ কাটিয়ে
এক হরর সময়ে তুমি
সেদিন আমি
রবীন্দ্রনাথের সুর হয়ে তোমার কর্ণকুহরের মূর্চ্ছনা তুলবো।

একদিন জানতে পাবে
নির্জনে যখন তুমি তোমার অনুভূতিতে
কল্পনারাও হযবরল তোমার নিকটে
নির্ঘুমে নিশাচর তুমি
সেদিন আমি
এক খন্ড মেঘ হয়ে তোমার হৃদয় আকাশে ভেসে বেড়াবো।

ঐদিন বর্ষার গগণ হবে তোমার অন্তর
নয়নে ভাসবে উজানের বান
অতঃপর
ভালবাসার বাঁধ সৃষ্টিতে তুমি হবে ব্যকুল
আমিও বেদনার পাল তুলে যন্ত্রণার মাঝি হবো,

অবশেষে নামহীন, স্বীকার বিহীন একটি সম্পর্কের মৃত্যু ঘটবে।

জেগে উঠো

CYMER41

শুকুনরা ঔঁৎ পেতে
কবে হবে ধ্বংস,
সম্প্রীতি নষ্টে
ধর্মকে হাতিয়ার করলে
দেশ কি তবে ধর্মের গ্যাঁড়াকলে!

হায়েনারা ফাঁদ পেতে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে,
সাম্প্রদায়িকতা বিনাশে
ধর্মের লেবাস ধরলে
দেশ তবে ধর্মান্ধের যাঁতাকলে।

রাঘব বোয়ালরা ভ্রষ্ট পথে
রাজনীতি নিলে পুঁজিবাদীতে,
ভ্রাতৃত্ববোধ ভাঙতে
ধর্ম নীতির বুলি ছুঁড়ে
দেশ নিচ্ছে ভাই রসাতলে।

মানুষ মেরে ধর্ম পালন
এই কেমন ধার্মিকতা!
ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়
বলে কোরআন-হাদীস, বাইবেল-গীতা।

ওহে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃস্টান
জেগে উঠো
ধর্মান্ধের অন্তরে
জাগিয়ে তুলো সাম্যের গান।

১৪ঃ০০
১৭/১০/২১ইং