পহেলা বৈশাখের বৈকালে, আমি এনা ছাদোত উটিছুনু চম্পাকলিক দেকপা
উটে দ্যাকো কি! চম্পাকলি হামার আগেই ওরগে ছাদোত উটিছে
হলদি শারী গাওত দিয়ে দ্যারে আছে হামাকি দেকপা।
হামি অর মুখোত চায়ে আছি
উঁও হামার মুকোত চায়ে আছে
খানিক বাদে- ঝড় উটলো – বুজা পারিছিন?
দেওয়া আন্দার হলো
বিষ্টি নাম্বা লাগলো
উঁও ভেজছে
হামিও ভিজোছি
হামি ওকে দ্যাকোছি
উঁও হামাক দ্যাকোছে
বিষ্টি থামলো
ওদ উটলো
হামরা দুজনা ওদোত দ্যারেই আছি
হামরা দুজনা খালি দ্যাকোইছি হামাগের গাও ওদোত শুকে গেল
কখন যে সোন্দা হয়ে গেল চম্পাকলি নামবে গেল ঘরোত
কিন্তুক হামি দ্যারেই থাকনু ছাদোত
হামার বাপ আইসে কোলো, কেরে! কুটি গেছুলু?,
হামি কনু! এনা ছাদোত উটিছুনু বাপ আগ হয়ে কোলো,
দিন তামান ওল্লাই করবু রে চ্যাংরা? না এনা পরাশুনা করবু রে বা!
পরদিন খবর পানু, চম্পাকলির জর আছে
মেডিকেলে ভর্তি হছে
হামি ওকে দেকপা যায়ে কপালত হাত দিনু
যে সে গরম লয় বাপু!,
চম্পাকলি হামার হাত চিপে ধরে কোলো,
হামি ভাল হলে হামরায় নিকা করে ফেলমো, কি কছিন?
হামি কনু, হয় হয়!
নিকা করে তোমাক লগাঁও বেরবা লে যামু!
সকোন আত বারোটা কি একটা হবে—বুজা পারিছিন?
এডা ফোন আলো।
কোলো, চম্পাকলি মোছে -তুই জ্যান কান্দিস না!
শ্যাষবার অক একবার দেকপা আসবু না?
অচমভিতি বুকের ভিতর কুতপাহিনি এডা ব্যাঁদনা শুরু হলো
সে ব্যাঁদনাত চোখোত পানি জমে উটলো
হামি কতা কবা চাছি কিন্তুক! আও করা পাছি না
হামি খাটোত শুতে পন্নু
হামার গলাত কে জ্যান খামছে ধরিছে
হামি হামার বাপোক কনু এনা পানি দেও বা!
কিন্তুক হামার বাপ শুনা পাছে না!
বুকের ব্যাঁদনা ব্যারে গেল
হামার চোকোত ভ্যাসে উটলো চম্পাকলি বিষ্টিত ভেজোছে
চোকত ভ্যাসে উটলো চম্পাকলি ঘুম আছে
উঁই ঘুমোত থিনি আর উটপে না!
চম্পাকলি তুই কুন্টে গেলু হামাক ছ্যারে!
হামি তুক লিয়ে সাগরত নুন পানিত ভিজবা চাছুনু রে!
সাগরের ব্যালুত র্যাতে শুবা চাছুনু রে!
হামি সাগরের ডেউ এর কতা বুজবা চাছুনু রে!
চম্পাকলি তুই কুন্টে গেলু রে!
তোক লিয়ে হামার আর লগাও যাওয়া হলো না রে!
youtu.be/npGO2h6Z-ww
সব শব্দ বুঝেছি এমন দাবী করবো না; তবে শব্দার্থ বুঝেছি। দারুণ কবিতা আর দারুণ আপনার কণ্ঠ কবি ইলহাম দা। আপনার সাফল্য কামনা করি। অসাধারণ গুণ।
কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি দি!
Congratulations.
চম্পাকলিকে নিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় চমৎকার কাব্য পড়লাম ,যদিও অধিকাংশ শব্দগুলো অচেনা লেগেছে। এটা যে প্রেমহারানো বিরহগাঁথা তা অবশ্্য অনুভব করেছি। মুগ্ধতা রাখলাম
কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি ও লেখিকা। আপনার লেখা গুলো আমি মুগ্ধ হয়ে পড়তা।
একটু ব্যাস্ততার কারণে শব্দনীড়ে নিয়মিত হতে পারছি না। আশা করছি দ্রুত নিয়মিত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ!
বুঁদ হলে শুনলাম ইলহাম ভাই। সত্যিই অসাধারণ একটি প্রয়াস। জয় হো।
কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক ভালোবাসা প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী
কিছু কিছু কাজ যত ক্ষুদ্রই হোক না, মানুষকে স্মরণীয় বরণীয় করে রাখে। একজন শব্দ যোদ্ধা বা কণ্ঠ যোদ্ধা বিনা অস্ত্রেই অমর হয়ে উঠতে পারেন এই কথাটাি অস্বীকারের জো নেই। মি. ইলহাম। আপনার এই আয়োজন বা এমনতর আয়োজন আপনাকে বাচিয়ে রাখবে পাঠকের মনে। হয়তো অনন্তকাল। বেঁচে থাকুন পাঠকের হৃদয়ে, শ্রোতার হৃদয়ে। ভালোবাসা।
কৃতজ্ঞতা! বিনম্র শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক ভালোবাসা প্রিয় শ্রদ্ধাস্পদেষু !
কবিতা ও আবৃত্তি দু'টাই দুর্দান্ত কবি ইলহাম।
আগেই শুনেছিলাম ও পড়েছিলাম। আঞ্চলিক ভাষায় আবেগ যেন একদম ফুটে উঠেছে কবিকণ্ঠে।
আঞ্চলিক ভাষার অপার বিন্যাস । ভালো লাগলো । ধন্যবাদ