আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি

আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি

মধ্যপ্রাচ্য থেকে আফগান
মোড়টা একটু ঘুড়িয়ে
এমেরিকায় নাইন ইলেভেন
অতঃপর ইউরোপে এলেন
লন্ডনে ভয়ঙ্কর সিরিজ বোমা হামলা
প্যারিসে আত্মঘাতী হামলা
ইরাকের ইয়াজিদি কমিউনিটির উপর হামলা
সিনেমা রেক্স ফায়ার
বেসলান গণহত্যা
ইস্তাম্বুলে বিমানবন্দরে হামলা
এরপর দক্ষিণ এশিয়ায় ঢুকলেন
মুম্বাইয়ের হোটেল তাজমহলে হামলা
বাংলাদেশের হলি আর্টিজান
আবারও ইউরোপ ঘুড়ে ক্রাইস্টচার্চে আসলেন
আবারও দক্ষিণ এশিয়া
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে সিরিজ বোমা হামলা ।

আপনারা যদি চান
আমরা আমাদের সদ্যজাত সন্তানের গলার রগ
ব্লেড দিয়ে কেটে দিতে পারি
ফিনকি দিয়ে উঠে আসা রক্তের গ্লাস দিয়ে
সাজিয়ে দেব আপনাদের প্রতিদিনের নাস্তার টেবিল
তবুও এ রক্তের স্রোত থামান।

হ্যাঁ আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি
ধর্মের অজুহাত মানুষ আর বিশ্বাস করে না।
আপনাদের সর্বোচ্চ শক্তি আমরা জেনে গেছি
আর তা হচ্ছে ইউরেনিয়াম এর বিস্ফোরণ
কিন্তু আপনারা জানেন না কতটা শক্তিধর মানবিক বিস্ফোরণ।

যদি এ রক্তের স্রোত না থামান
তাহলে আজ শুনে রাখুন…

পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ অতি দ্রুতই
ছিনিয়ে নেবে আপনাদের মোড়লত্ব
না তারা অস্ত্র তুলে নেবে না
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেও পৃথিবীকে ঠেলে দেবে না।

আপনাদের মোড়লত্ব ছিনিয়ে নেয়া হবে
ঘৃণা দিয়ে, গগনবিদারী আহাজারি দিয়ে
কান্নার আওয়াজ দিয়ে, সিন্ধুসম অশ্রু দিয়ে।

আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি
আপনাদের একটু কি জানতে ইচ্ছে হয়?
ক ফোঁটা রক্ত দিয়ে এক ফোটা অশ্রু হয়?

5 thoughts on “আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি

  1. আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলছি …
    আপনাদের একটু কি জানতে ইচ্ছে হয়?
    ক ফোঁটা রক্ত দিয়ে এক ফোটা অশ্রু হয়? :(

  2. আপনাদের মোড়লত্ব ছিনিয়ে নেয়া হবে ঘৃণা দিয়ে, গগনবিদারী আহাজারি দিয়ে, কান্নার আওয়াজ দিয়ে, সিন্ধুসম অশ্রু দিয়ে। কথা কুলোন ফেলে দেয়ার মতো নয়। শুভেচ্ছা কবি ইলহাম। 

  3. রক্তের স্রোত থামাতে হবে। কিন্তু জবাব কে দেবে ? ভালো লিখেছেন কবি ইলহাম দা।

  4. বিশ্ব মোড়লরা এই সব কাহিনীর সবই জানে। হয়তো ওরাই ঘটায় ইলহাম ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yes.gif

  5. বাংলাদেশের হোলি আর্টিজান, ৫০০ বোমা হামলা, বাংলা ভাই শায়খ আব্দুর রহমানকেও কি ইহুদীদের টাকা খেয়ে এ কাজ করছে? এরকম জেনারেলাইজ চিন্তা করি বলেই আজ মুসলমানরা সারা বিশ্বে ঘৃনার শিকার 

     

    এই লিংকটা দিয়ে গেলাম যাতে করে সেই মুখস্থ বুলি না ছড়ানো হয়। সবচে মজার কথা হলো নবী মোহাম্মদের মরার পর সবচে বেশী সাহাবী ও তাবেঈন মরেছিলো মুসলমানদের তলোয়ারের আঘাতে এবং তার মূল কারন ছিলো ঘাদিরে খুদুমের ঘোষনার অস্বীকার আর নবীর শ্যালকের রাজনীতির কাছে সবার হেরে যাওয়া।

    ইহুদী নাছাড়াদের ষড়যন্ত্র চেস্টা করেও খুঁজে পাওয়া যায় না নিরপেক্ষ তদন্ত হলে। খুঁজে পাওয়া যায় সব পরিচিত মুমিনদের মুখ

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।