হেকিমনি
কুম্ভকর্ণ ঘুমাচ্ছিল নাকে দিয়ে তৈল
সবাই বলে ও বাবা গো এ কি ভীষণ হইল
দিনের পর দিন কেটে যায় মাসের পর মাস
কুম্ভ তবু নড়ে না গো একই সব্বনাশ !
পাশ দিয়ে যাচ্ছিল ও পাড়ার হেকিম চাচা
রাবণ এসে বলল তারে, “চাচা আমায় বাঁচা।
ভাইটা বুঝি তুলবে পটল নিঃশ্বাসও বয় মন্দ
সে যদি যায় আমিও যাব নেই কো তাতে সন্দ।”
হেকিম কয়, “দাঁড়াও তবে আনছি ডেকে হেকিমনি
ঝাড়ু মেরে করবে ভালো যত রোগ আর রুগিনি।”
হেকিমনি এসে বলে, “আন ত দেখি মালা
মালা পরিয়ে ভাঙব আজি কুম্ভোর ওই দেয়ালা।”
মাল্য গলায় কুম্ভ তাকায় ভাঙল যে তার ঘুম,
গন্ধ মুখে হেকিমনিকে দিল বিশাল চুম।
হেকিমনি গন্ধ শুঁকে উল্টে পড়ে দাওয়ায়
বল ত দেখি তার পর কি হতে পারে হেথায় ?
সকাল সকাল কুম্ভকর্ণের দারুণ পদ্য লিখা পড়লাম। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু।
অনেক ধন্যবাদ কবি সতত এমন প্রেরণা যোগাবার জন্য ।