নদীটি নারী হয়ে উঠেনি
কতকাল ভেবেছিলাম আমার নদীটা নারী হয়ে উঠবে
হয়ে উঠতে উঠতেও আর হয়ে উঠেনি
একেবারে কানের লতির পাশ ঘেঁষে যেমন বন্দুকের গুলিটা চলে যায়
তেমনি সেও কিছু বনষ্পতির অন্তরালে মিলিয়ে গেলো!
আমি তখন মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে আকাশ দিয়ে উড়ছিলাম
আমি তখন কোন অভাগা ব্যাকরণ লিখেছিলো, তার কথা ভাবছিলাম!
সে ভাবনা গুলো অনুনাসিক বর্ণের মতো গভীর ছিলো
সে ভাবনা গুলো উড়ন্ত চিলের ডানার মতো দুরন্ত ছিলো!
অতঃপর আমি আর নদীর কথা ভাবি না
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শেষে ঘুম ভাঙার স্বপ্ন দেখি না
পিপীলিকার মতো সেই ভাঙা সড়ক পথে নিঃশব্দে হাঁটি
সে আর আসে না!
পাশের ডোবার কিছু কুচুরিপানারা খুচুরখুচুর করে
তবুও…
আমার দু’চোখে নদীটা নারী হয়ে উঠার অজাত স্বপ্নেরা
মরে যায় না
তবুও যদি চলে নদী প্রাগৈতিহাসিক দুঃস্বপ্নের মাঝে
ওরা এখনও পুকুর চোখ মেলে আমার নদীটি খোঁজে!
পিপীলিকার মতো সেই ভাঙা সড়ক পথে নিঃশব্দে হাঁটি
সে আর আসে না!
* অপূর্ব উপমা…
ভালো থাকুন কবি বন্ধু।
চমৎকার লেখা কবি দা।
"অতঃপর আমি আর নদীর কথা ভাবি না
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শেষে ঘুম ভাঙার স্বপ্ন দেখি না
পিপীলিকার মতো সেই ভাঙা সড়ক পথে নিঃশব্দে হাঁটি
সে আর আসে না"
বেশ ভালো লাগলো কবি!
শুভেচ্ছা রইলো

গুড জব প্রিয় কবি।