হিসাবের কড়িকাঠ একটু বেসামাল হলেই…
যখন জলে আগুন জ্বলে; তখন
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো কিছুকিছু শব্দও টিপ্পনীর
মতোন করে কথা বলে!
আলহামদুলিল্লাহ…..
আমি ছাতিম গাছের তলায় যেদিন প্রথম
পুরোদস্তুর একটা রাজপথ ঘুমাতে দেখেছিলাম
পাতাঝরার শব্দে শেষবার যেদিন শুনেছিলাম
কবি থেকে রাজপুত্র হয়ে উঠার সারস গল্প;
আমার জানা মতে,
সেদিনের পর আর কোনো চাঁদ পোয়াতি হয়নি!
আর আজকাল হিসাব ছাড়াই আমরা চামড়ার
গায়ে বিবস্র সভ্যতার সীলমোহর এঁকে দিতে পারি
জলের ভেতরে জলের কবর কোদাই করতে পারি
রাজপথ থেকে মেঠোপথ…… এদের সবাইকে
একই সারিতে, একই বৈঠকে গণকবর দিতে পারি.!!
আমি জানি, আমরা সবাই আমড়া কাঠের ঢেঁকি
তবুও আমি আমাদের বড়ো ভাগ্যবান বলি…..
কারণ আমরা সবকিছু ভুলতে যেমন শিখে গেছি
তেমনি সবকিছু সহ্য করতেও শিখে গেছি…!!
আলহামদুলিল্লাহ….. এভাবেই আমাদের ভালো থাকতে হবে। সইয়ে নিতে হবে।
অভিনন্দন প্রিয় কবি জসীম উদ্দীন মুহম্মদ।
কারণ আমরা সবকিছু ভুলতে যেমন শিখে গেছি
তেমনি সবকিছু সহ্য করতেও শিখে গেছি…!!
ভীষণ বাস্তব এই কবিতা। ভাল থাকুন প্রিয় কবি দা।
কত কিছু দেখতে হয়, কত কিছু সইতে হয়। সব মিলিয়ে আবার ভালোও থাকতে হয়।
মুগ্ধতা রাখছি কবি ভাই।