যখন মেঘের কান টেনে বৃষ্টি নামিয়ে আনে মঙ্গার
পোড়া কপাল, তখন উত্তরে বাতাস কেউকেটা হয়
আরশ্রাবণের জল মিছেমিছি চলে যায় বানপ্রস্থ,
কবি তখন কলম মুখে রাংসার বুকের দিকে তাকিয়ে
সে বুকে আজ আর কোনো আব্রু নেই…কেবল
মুখরা রমণীর মতোন ঝাঁঝালো নিঃশ্বাস আছে!
অথচ একদিন কবি রাংসার জল হতে চেয়েছিলেন
হতে চেয়েছিলেন জয়নুল, পিকাসো, কামরুল…আর
বিশাল আয়োজন করে নেমতন্নও করেন লিওনার্দো;
শরতের কাশফুলগুলো কবি আর কবিতার সব ভুল
ভেঙে দিয়েছিলো; অথচ কী আশ্চর্য!
সেই কবি-ই এখন স্বেচ্ছা নির্বাসিত!
কবির সাথে সাথে নির্বাসিত কাশফুল, রাংসার জল!
যেমন করে ধরণীর বর্ধিষ্ণু উত্তাপ অহর্নিশি কানাকানি
করে, দোর্দণ্ড প্রতাপে কামনা বাসনার সকল অঞ্জলি
হাসতে হাসতে মিটিয়ে নেয় ধুবলার চর…
যেমন করে পৃথিবীর সব বরফ গলা নদী কিনে নেয়
বুকের জমিন, কবিও তেমন করে নির্বাচিত কবিতার
পসরা সাজাতে চান; কোমেনের মতো আচানক বিদ্রোহ
করে বসে কবির শব্দের নদী, কবির কথা শোনে না
কবির কান!! নিরুপায় কবি ঠিক তখনই স্বেচ্ছা নির্বাসন চান….!! আর
তাঁর নির্বাচিত কবিতাও বন্যার জলে ভেঙে খানখান!
কবি-ই এখন স্বেচ্ছা নির্বাসিত!
কবির সাথে সাথে নির্বাসিত কাশফুল, রাংসার জল!