(বংগবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্মরণে)
পঁচিশের কালো রাত, পাকিস্তানী হানাদার যখন হত্যা নেশায় বাংগালী নিধনে মত্ত,
সেই হত্যাযজ্ঞের এক ক্ষনে কিছু পাঞ্জাবী কুকুর নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে।
মৃত্যুকে ভয় পাওয়া কাকে বলে নেতা জানেনা,
অন্ধকার কারাগার ততোদিনে নেতার আরেক আবাস,
জীবনের সুন্দর সময়গুলো নেতা অন্ধকারেই কাটিয়ে দিয়েছে বড়ো অবলীলায়।
অন্ধকারকে ভয় পাওয়া কাকে বলে নেতা জানেনা,
একটাই ছিলো চিন্তা,
একটাই ছিলো ভয়,
নেতাকে অন্ধকারে আটকে রেখে,
কতো মানুষ, কতো প্রাণ, কতো সম্পদ,
ধ্বংস করে এরা ক্ষান্ত হবে!
কতো মায়ের কতো বোনের ইজ্জত,
লুটে নিবে এই হায়নার দল।
নিজের জীবনের চিন্তা তাঁর নেই,
অন্ধকার প্রকোষ্টের পাশেই খুঁড়ে চলে
নেতাকে মেরে কবর দেওয়ার পরীখা,
কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তাতে নেতার।
দিনের পর দিন নেতার চিন্তায়
প্রিয় মাতৃভুমি, প্রিয় স্বদেশ,
কতো হত্যা আর কতো ধ্বংসযজ্ঞ,
কতো গ্রাম হলো পুড়ে ছাড়খার।
বিশ্ব বিবেককে অবজ্ঞা করে
নরখাদক ইয়াহিয়া চালায়
বিচারের নামে এক মিথ্যা প্রহসন।
নেতার নামে চলা এক মরণপন যুদ্ধে
দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা,
রক্তের বন্যায় ভেসে যায় সকল অন্যায়,
লাখো মা বোনের সম্ভ্রম হারানো অভিশাপে
পিছু হটে পাকিস্তানি জান্তা বাহিনী,
সংগে থাকে ভারতীয় বীর জওয়ান সেনা।
স্বাধীন হয়েও দেশের আকাশে উঠে না
লাল সুর্য্য,
শত্রু মুক্ত হয়েও আনন্দের নেই লেশ,
কোথায় যেনো এক অপূর্ণতা,
কোথায় যেনো এক বিষন্নতা।
তারপরে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
অন্ধকার থেকে এলো স্বাধীনতার লাল সুর্য, স্বাধীন আকাশটাকে লাল রংগে রাংগিয়ে, দেশ মেতে উঠে মুক্তির আনন্দে,
সকল দুঃখ ভুলে,
বরন করে জাতি তার শ্রেষ্ট সন্তান।
"অন্ধকার থেকে এলো স্বাধীনতার লাল সুর্য, স্বাধীন আকাশটাকে লাল রংগে রাংগিয়ে, দেশ মেতে উঠে মুক্তির আনন্দে,
সকল দুঃখ ভুলে, বরন করে জাতি তার শ্রেষ্ট সন্তান।"
শ্রদ্ধা রাখি কালজয়ী এই মহান পুরুষের প্রতি। বাঙ্গালী জাতির জনক অন্তরে বাঁচুন অনন্তকাল।
অন্ধকারকে ভয় পাওয়া কাকে বলে নেতা জানেনা।
এমন নেতা এখনও সময়ের দাবি। নেতা স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন। আপনাকে ধন্যবাদ কবি রাশেদ ভাই।
বংগবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের মানুষ আজীবন স্মরণ রাখবে।
তবুও দেখা যায় রক্তিম সূর্য
আমাদের লাল সবুজের পতাকায়।
আমার প্রিয় কাজী রাশেদ দাদাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।