আসলে আমার সবাই চিঠি লেখা ভুলতে বসেছি। তাই আমি ঠিক করেছি আমরা যারা ব্লগে আসি তারা যদি একজন অন্যজনকে চিঠি লিখি তবে তা কেমন হয় !! মানে যে কেউ যদি আমার কাছে চিঠি লেখে (তা হোক কবিতা কিংবা গল্প অথবা সাধারণ বাজারের লিষ্ট বা টাকা চাহিয়া পুত্রের পত্র) আমি তার প্রতি উত্তর দেবো।
যেমন দেয়া হয়েছে। আপনারা যারা চিঠি লিখবেন তারা একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন যেমন, চিঠি -১, চিঠি -২ এই ভাবে। আর আমি উত্তর দেবো পত্র-১, পত্র-২ এই ভাবে। সুন্দর হোক ব্লগিং।
লিঙ্ক অথবা মন্তব্যের ঘরে … আপনার প্রিয় লেখাটি দিন।
লেখা থেকে আমি তার প্রতি উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।
কিছু লেখা পড়ে দেখতে পারেন। চিঠিপত্র। চিঠির পত্র ১। চিঠির পত্র ২। চিঠির পত্র ৩। চিঠির পত্র ৪। চিঠির পত্র ৫। চিঠির পত্র ৬। চিঠির পত্র ৭। চিঠির পত্র ৮। চিঠির পত্র ৯। চিঠির পত্র ১০। চিঠির পত্র ১১।
আসিতেছি স্যার খেয়ালী মন।
এখনো লিখি নাই। লিখলে অবশ্যই দিব!
শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।
দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।
পর সমাচার এই যে, ইহা আমার দ্বিতীয় চিঠি, এর আগে আমার পাঠানো চিঠির কোন উত্তর পাই নি। যা হোক আবারও লিখলাম, হু এবারও যদি চিঠির উত্তর না দেন তবে মনে বড় দুঃখ পাবো। আর সেই দুঃখে আপনাদের এই চিঠি চলাচালি পোষ্টে এসে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেই যাব।
আপনাদের এই পোষ্টে আমি জানিয়ে যাই, একটি বিখ্যাত লেখার ভূমিকা। আপনাকে জানাতে হবে লেখাটি কার এবং কেন আমি এ ধরনের উদ্যেগে এমন চিঠি আপনাদের লিখলাম। ভূমিকাটি নিম্নরূপ।
“এই রচনাটির একটু ভূমিকা আবশ্যক। ১৯৩৬ সালে একটি বাঙ্গালী যুবক লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়িতে যায়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে গাওয়ার স্ট্রিটের ভারতীয় আবাসটি জার্মান বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হইলে আত্মীয়বর্গের নির্বন্ধাতিশয্যে যুবকটি ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসে। স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রীপসের আলোচনার প্রাক্কালে বিলাতের একটি প্রাদেশিক পত্রিকা তাহাকে তাহাদের নিজস্ব সংবাদদাতা নিযুক্ত করিয়া দিল্লীতে পাঠান। লন্ডনে অবস্থানকালে এই পত্রিকায় সে মাঝে মাঝে প্রবন্ধ লিখিত।
দিল্লীতে যাইয়া যুবকটি তাহার এক বান্ধবীকে কতগুলো পত্র লেখে। বর্তমান রচনাটি সেই পত্রগুলি হইতে সংকলিত …
এই স্বল্প পরিসর পত্র রচনার মধ্যে লেখকের যে সাহিত্যিক প্রতিভার আভাস আছে, হয়তো উত্তরকালে বিস্তৃত সাহিত্য চর্চার মধ্যে একদা তাহা যথার্থ পরিণতি লাভ করিতে পারিত। গভীর পরিতাপের বিষয়, কিছুকাল পূর্বে এক আকস্মিক দুর্ঘটনায় তার অকালমৃত্যু সেই সম্ভাবনার উপরে নিশ্চিত যবনিকা টানিয়া দিয়াছে।”
এই বইয়ের একটি অংশও দিলাম যাতে চিঠি উত্তর দিতে আপনার সুবিধা হয়।
“পুরুষের জীবনে আজ গৃহ ও গৃহিনীর প্রয়োজন সামান্যই। তার খাওয়ার জন্য আছে রেস্তোরা, শোয়ার জন্য হোটেল, রোগে পরিচর্যার জন্য হাসপাতাল ও নার্স। সন্তান সন্ততিদের লালন পালন ও শিক্ষার জন্য স্ত্রীর যে অপরিহার্যতা ছিল, বোর্ডিং স্কুল ও চিলড্রেন্স হোমের উদ্ভব হয়ে তারও সমাধা হয়েছে। তাই স্ত্রীর প্রভাব ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হয়ে ঠেকেছে সাহচর্যে। সে পত্নীর চাইতে বেশিটা বান্ধবী। সে কর্ত্রীও নয়, ধাত্রীও নয়, -সে সহচরী।
নারীর পক্ষেও স্বামীর সম্পর্ক এখন পূর্বের ন্যায় ব্যাপক নয়। একদিন স্বামীর প্রয়োজন মুখ্যতঃ ছিল ভরণ, পোষণ ও রক্ষণাবেক্ষনের। কিন্তু এ যুগের স্ত্রীরা একান্তভাবে স্বামী-উপজীবিনী নয়। দরকার হলে তারা আপিসে খেটে টাকা আনতে পারে।
তাই স্বামীর গুরুত্ব এখন প্রধানতঃ কর্তারুপে নয়, বন্ধুরুপে।”
আপনার ভালো হোক।
লেখাটি কমন পড়েছে। সেই কলেজ লাইফে পড়া বই।
অর্থবোধক লেখায় ঠাসা বই। নিচের লাইনগুলো মনে রাখার চেষ্টা করি সবসময় –
“সহজ হওয়ার মধ্যেই আছে কালচারের পরিচয়, আড়ম্বরের মধ্যে আছে দম্ভের। সে দম্ভ কখনও অর্থের, কখনও বিদ্যার, কখনও বা প্রতিপত্তির।”
আপনার ভাল হোক।
আমারও কমন পড়েছে।
“আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। তাতে আছে গতির আনন্দ, নেই যতির আয়েস।”
“কিন্তু ধর্ম এখন শুধু ইলেকশনের ভোট সংগ্রহ ছাড়া ভারতবর্ষেও বড় একটা কাজে লাগেনা। তাই এ যুগে সহধর্মিণীর চাইতে সহকর্মিনীকে নিয়ে বেশী রোমান্স লেখা হয়।”
আমারও কমন পড়েছে।
যাযাবরের লেখা উপন্যাস দৃষ্টিপাত যার লেখকের পূর্ণ নাম বিনয় মুখোপাধ্যায়।
দিল্লীতে যাইয়া যুবকটি তাহার এক বান্ধবীকে কতগুলো পত্র লেখে। বর্তমান রচনাটি সেই পত্রগুলি হইতে সংকলিত …
শুনতে পাই আমার হাই হ্যালোর যন্রনায় কেউ কেউ ব্লগ ছেড়ে পালিয়েছে।
ভাই আপনারা চিঠি চালাচালি করুন, আমি আর ডিস্টার্ব করবো না।
হ্যা জনাব, আমার কাল পরীর সমাধি পর্বগুলি শেষ হলে একটা চিঠি লিখব।
অপেক্ষায় থাকবো

কাল পরী মালাইকা আর আবেলের কথা জানিয়েও তো আমাকে একটা চিঠি লিখতে পারে। জানেন ওদের প্রেমের এমন পরিণতি আমার মনকে ভীষণভাবে বিক্ষিপ্ত করে রেখেছিল অনেকদিন। লেখা শেষ হবার পর আমি খুবই কষ্টে দিন পার করেছি ওদের এমন পরিণতি আমি চাইনি!
কী, পারেন না?
ছেঁড়া পাতা
শ্রাবণের মেঘে ঢাকা আকাশ বর্ষণ মুখর
রিম ঝিম বরষে।
ফুলে ফুলে ঢাকা হাস্নু হেনার ঝাড়
সুবাসিত আন্দোলিত হরষে।
মনে পড়ে ফেলে আসা
সেই সব দিন।
বয়সের ভারে ক্ষয়িষ্ণু, ম্রিয়মাণ,
দৃষ্টি হয়েছে ক্ষীণ।
তবুও মনে পড়ে যেন
সেদিনের স্মৃতি।
মাটি ও মায়ের সাথে
বিজড়িত বিস্তৃতি।
বৃষ্টিতে ভিজে মাছ ধরা,
বন বাদাড়ে ঘোরা, গাছে চড়া।
বন্ধুদের সাথে শাপলা তোলা
সাঁতার কাটা নৌকা চড়া।
পাখির বাসায় হানা দেওয়া,
ফড়িং প্রজাপতির পেছনে ছোটা।
ছেড়া ছেড়া স্মৃতি গুলো এখনো জ্বলজ্বলে
যেনো রঙ্গিন পদ্ম ফোটা।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে
অনেক কিছুই আজ বিলীন।
মনে হয় স্মৃতির পাতা মুছে যাবে
হয়ে যাবে লীন।
আজ বড় সাধ হয় নতুনের সাথে ভাগ করে নেই
আমার স্মৃতি কথা।
বুক ভরা আশা নিয়ে ছেড়ে দিলাম
আমার ছেঁড়া পাতা।
এটাই আমার নতুনের কাছে লিখা চিঠি।
উত্তর পেলে খুশি হব
যদিও গতানুগতিক চিঠি থেকে ভিন্ন …
শুভেচ্ছা ও শুভকামনায়
ছন্দ হিন্দোল
খুব সুন্দর করে ভিন্ন মাত্রার চিঠি।
নতুন কেউ ঠিক উত্তর দেবো ..অপেক্ষায় থাকুন।