বয়সি বৃক্ষের কথা
বৃক্ষের ডাল গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে বয়সের ভারে,
গাছের শেকড় থেকে সরে যাচ্ছে মাটি, যেটুকু পানি দরকার ছিলো তা শুষে নিয়েছে আগাছার দল, পাতাগুলো হলুদ হয়ে আর রোদ থেকে প্রয়োজনীয় রসদ নিতে পারে না
হায় জীবন
হায়রে জীবন……
কল্পিত ধারার বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ভাসায় দু’কুল
ভেসে যায় গৃহস্থালি, ভেসে যায় টিনের চাল, ভেসে যায় গবাদি পশু,ডুবে যায় দৈনন্দিন সুখের ক্ষেত খামার।
হে আমার ভুবন ভোলানো হাসির ভূমিকম্প তোমাকে আর খুঁজে পাইনা বয়সিনী ভালোবাসায়, সেই টোল পরা গালে আজ শুধুই উৎকণ্ঠার বালিরেখা, কাছে সরে আসার সংকল্প নিয়ে হাতে হাত রেখে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সেই সৌখিন লেবাস আজ নিয়েছে অবসর।
তোমাকে আর তোমার মাঝে খুঁজে পাই না,
তোমাকে আর আমার মাঝে খুঁজে পাই না,
আমাকে আর তোমার মাঝে খুঁজতে যাই না
তোমাকে আর দুজনের মাঝে দেখতে পাই না।
এখন শুধুই ভর করে বেঁচে থাকার দায়,
হাতের লাঠিকে ভর করি, চোখের চশমায় ভর করি,
ঔষধের দোকানে ভর করি, নির্ভরতার ভর করি সন্তানের কাছে।
পুড়ে যাওয়া সময়, ক্ষয়ে যাওয়া সময়, ঝরে যাওয়া সময়, ঝড়ে যাওয়া সময়;
হায় সময়
হায়রে সময়!
নীড়ে যাবার সময় এসে গেলো পাখি
শুকনো ডালে বসে করো ডাকাডাকি;
সজীব উল্লাস আসবে না ফিরে
থাকবে না সবুজ তোকে আর ঘিরে;
বৃথা যাবে দিন, কিছুটা মলিন
একাকি জীবনের দরকষাকষি
বালিসে তোসকে নাক ঘসাঘসি
বয়সি বৃক্ষের জমানো যে স্মৃতি
সবটুকো তার হয়ে যাবে ইতি।
০৫/০৬/২০১৮
লিখাটিতে যথেষ্ঠ যত্নের ছাঁপ লক্ষ্য করলাম। হৃদয় থেকে না লিখলে এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। আমার কাছে ভালো লেগেছে আপনার আজকের প্রকাশনা। অভিনন্দন বন্ধু।
কবিতাটি খুবি সুন্দর হয়েছে মন দা। আপনি নাই তাই মন্তব্যে কথা কম।