দত্ত বাড়ির জামাই

দত্ত বাড়ির জামাই
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

দত্ত বাড়ির জামাই বহু কাল পরে তাই
আসিছেন কলিকাতা থেকে,
মাটিরই হাঁড়ি জোড়া রসগোল্লা তাতে ভরা
দড়িতে বাঁধা শালপাতা ঢেকে।

পাড়ায় রাস্তার মোড়ে ডাকে সে উচ্চৈস্বরে
অটোওয়ালা এসো তাড়াতাড়ি,
শুনি অটোওয়ালা বলে পাঁচসিকে দাম দিলে
পৌঁছে দেব দত্তবাবুদের বাড়ি।

রাঙাপথে অটো চলে দেখে সবে কৌতুহলে
হবে বুঝি দত্তবাবুদের জামাই,
আর কিছুক্ষণ পরে আঁকা-বাঁকা পথ ধরে
পৌঁছায় দত্তবাড়ির দরজায়।

শালী সব আসে ধেয়ে জামাইবাবুরে লয়ে
ঘরে চলে সবে হাসি হাসি,
অটোওয়ালা ভাবে হেথা পাবে কি সে ভাড়াটা
দেবে কি জামাই ফিরে আসি?

আর কিছুক্ষণ যায় কারও নাহি দেখা পায়
অটো বাহিরিল সে রাস্তায়,
ভাবিতে ভাবিতে যায় যদিও না ভাড়া পায়
সে তো এই গাঁয়ের জামাই।

পরদিন অতি ভোরে জিজ্ঞাসিয়া সবাকারে
জামাই পৌঁছায় তার বাড়ি,
অটোওয়ালা তারে কয় তুমি বাবু মহাশয়,
ভাড়া পেয়ে খুশি হয় ভারি।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

10 thoughts on “দত্ত বাড়ির জামাই

    1. ধন্যবাদ প্রিয়কবি। আপনার সুমন্তব্যে আবেশিত হলাম।

      আন্তরিকতায় প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অনন্ত।

      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।

      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ প্রিয়কবি। আপনার সুমন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম।

      আন্তরিকতায় প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অনন্ত।

      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।

      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ প্রিয়কবি। আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম।

      আন্তরিকতায় প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অনন্ত।

      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।

      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ প্রিয়কবি। আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম।

      আন্তরিকতায় প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অনন্ত।

      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।

      জয়গুরু!

    1. ধন্যবাদ প্রিয়কবি। আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ ও প্রীত হলাম।

      আন্তরিকতায় প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অনন্ত।

      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।

      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।