বারুদ মাখানো কবিতার পাতায়

বারুদ মাখানো কবিতার পাতায়
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বারুদ মাখানো কবিতার পাতায় লেখনীর ঘষা লেগে,
দিকেদিকে আজ আগুন জ্বলুক সারাদেশ উঠুক জেগে।
বন্ধু! তুমি কি ক্ষুধায় কাতর? মুছে নাও চোখের জল,
কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজি জাগো ক্ষুধিতের দল।

ক্ষুধার অন্ন পায় নাকো যারা, থাকে যারা অনাহারে,
ঘুমন্ত পৃথিবী জেগে উঠে আজ ক্ষুধিতের চিত্কারে।
ক্ষুধার অন্ন কেড়ে নেয় যারা, কেড়ে খায় মুখের গ্রাস,
দেশের শত্রু জাতির শত্রু, ওরা করে দেশের সর্বনাশ।

ক্ষুধাতুর মানুষ চায় শুধু আজ এক মুঠো ভাত একটু নুন,
ক্ষুধার জ্বালা সহিতে পারে না ক্ষুধিত পেটে জ্বলে আগুন।
অসহায় মানুষেরা মরিছে ক্ষুধায়, কাঁদিছে ক্ষুধার জ্বালায়,
ক্ষুধিতের দল জাগুক আজিকে আমার কবিতার পাতায়।

ক্ষুধার আগুন জ্বলিছে আজিকে বিদ্রোহ দিকে দিকে,
লালে লাল হয়ে হাসিছে অরুণ ক্ষুধিতের খুন মেখে।
কবির লেখনী বিদ্রোহী আজিকে বারুদের পরশ পায়,
বারুদ মাখানো কবিতার পাতায় বিদ্রোহের গান গায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

5 thoughts on “বারুদ মাখানো কবিতার পাতায়

  1. "ক্ষুধাতুর মানুষ চায় শুধু আজ এক মুঠো ভাত একটু নুন,
    ক্ষুধার জ্বালা সহিতে পারে না ক্ষুধিত পেটে জ্বলে আগুন।
    অসহায় মানুষেরা মরিছে ক্ষুধায়, কাঁদিছে ক্ষুধার জ্বালায়,
    ক্ষুধিতের দল জাগুক আজিকে আমার কবিতার পাতায়।"

    চিরন্তন যেন এক শাব্দিক দ্রোহের এই কবিতা। নিরন্তর শুভেচ্ছা মি. ভাণ্ডারী।

  2. বারুদ মাখানো কবিতার পাতায় লেখনীর ঘষা লেগে,
    দিকেদিকে আজ আগুন জ্বলুক সারাদেশ উঠুক জেগে।
     

    বাহ্। অসাধারণ একটি দ্রোহের কবিতা। অভিনন্দন কবি লক্ষ্মণ দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।