বারুদের ধোঁয়ায় নামিল আঁধার

বারুদের ধোঁয়ায় নামিল আঁধার
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সংবাদসূত্রে প্রকাশ পুলওয়ামা জেলায় মহাসড়ক হয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল সিআরপিএফের একটি বহর। আওয়ান্তিপুরা এলাকায় ওই বহরের ওপর এই হামলা চালানো হয়।

হামলার সময় উপস্থিত এক সিআরপিএফ সদস্য বলেছেন, আইইডির বিস্ফোরণে (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সিআরপিএফ-এর যে বাসটি লক্ষ্য করে এই হামরা চালানো হয়েছিল তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৯ জন সদস্য ছিল। বিস্ফোরণের পর ওই সদস্যরা লুকানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বাসের গায়ে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে।

এই ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘পুলওয়ামায় সিআরপিএফ সদস্যদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তা ঘৃন্য। কাপুরষোচিত এই হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’

এ ছাড়া এই হামলার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী।

এই হামলার আগে কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।

আসুন, বারুদ বিষ্ফোরণে হতাহত শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমব্যথী হয়ে শোক-সন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানাই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু!

বারুদের ধোঁয়ায় নামিল আঁধার
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বারুদের ধোঁয়ায় নামিল আঁধার
কাঁদিয়া উঠে কাশ্মীর,
কাশ্মীর হইতে কন্যা-কুমারিকা
নয়নে বহিছে নীর।

কত তাজা প্রাণ হইল নিষ্প্রাণ
ছিন্নভিন্ন কত প্রাণ,
দীপ্ত পুলকেতে গাহিল সকলে
জীবনের জয়গান।

কত না মায়ের অশ্রু ঝরিছে
ভাসিছে নয়ন নীরে,
রক্ত দিল যারা দেশের তরে
আসিবে কি কভু ফিরে?

প্রাণ দিল যারা, স্মরণীয় তারা
শহীদ তরুণ বীর,
কে আছ জোয়ান হয়ে আগুয়ান
বাঁচাও জম্মু-কাশ্মীর।

কত তাজা প্রাণ হল বলিদান
বারুদ বিষ্ফোরণে,
সন্তান হারানো মায়েরা কাঁদিছে
অশ্রু বহিছে নয়নে।

দেশের মাটিতে বিদেশীরা এসে
বারুদের ঝড় তুলে,
দেশের শত্রু জাতির শত্রু
যারা আছে এর মূলে।

হয়েছে সময় আর দেরী নয়
শত্রুরা হাসিছে পারে,
দেশ সীমানায় নিরাপত্তা চাই
দাও বেড়া কাঁটাতারে।

হারিনি আমরা, পারিনা হারিতে
সংগ্রামে জয়ী হই,
শত্রুদের সাথে করিব সংগ্রাম
মৃত্যুভয়ে ভীত নই।

লেখনী আমার, কাঁদিছে আজিকে
লিখে নয়নের জলে,
অশ্রুসিক্ত আজি, কাশ্মীরের মাটি
কবিতায় কথা বলে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “বারুদের ধোঁয়ায় নামিল আঁধার

  1. কত তাজা প্রাণ হইল নিষ্প্রাণ
    ছিন্নভিন্ন কত প্রাণ,
    দীপ্ত পুলকেতে গাহিল সকলে
    জীবনের জয়গান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Frown.gif.gif

  2. বারুদের ধোঁয়ায় আঁধার। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান ট্র্যাজিডী বেদনাদায়ক। :(

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।