ফাল্গুনে

ফাল্গুনে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ফাল্গুনে প্রস্ফুটিত
পলাশ শিমূল,
আম্রশাখে বিকশিত
আম্রের মুকুল।

অজয়ের নদীকূলে
সমীরণ বয়,
তরুশাখে সুসজ্জিত
নব কিশলয়।

সোনাদিঘি দুইপাড়ে
সারিসারি গাছ,
দিঘিতে সাঁতার কাটে
বড় রুই মাছ।

গ্রাম সীমানার পাশে
আম্রের কানন,
কোকিলের কুহুতানে
ভরে ওঠে মন।

লাল ধূলোর সরানে
চলে গোরুগাড়ি,
রাঙাপথে যাত্রী আসে
নদীঘাট ছাড়ি।

ফাল্গুনের বনে বনে
নানা ফুল ফুটে,
পূরব গগনে হেরি
লাল রবি উঠে।

পলাশের বনে বনে
সৌরভ ছড়ায়,
মধুকর আসে ধেয়ে
গুঞ্জরণ গায়।

সোনালি কিরণ ছড়ায়
সোনার তপন,
তরুশাখে পাখি ডাকে
হরষিত মন।

নদীবাঁকে ঝাঁকে ঝাঁকে
শালিকের দল,
সারাদিন চরে বসে
করে কোলাহল।

ফাল্গুনে বনে বনে
মনে রং লাগে,
ফুটফুটে জোছনায়
চাঁদতারা জাগে।

রাত কাটে ভোর হয়
পূবে সুর্য উঠে,
ফাল্গুনে পলাশ বনে
লালফুল ফুটে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “ফাল্গুনে

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।